করোনাভাইরাস পরীক্ষায় র্যাপিড টেস্টের বিষয়ে ‘আরও সুনির্দিষ্ট ও পরিমার্জিত’ প্রস্তাব দিতে বিশেষজ্ঞ কমিটিকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আগামী রবিবারের মধ্যে এই প্রস্তাব জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটি সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, র্যাপিড টেস্ট বা ‘নমুনা সম্প্রসারণ নীতিমালার খসড়া’ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের অনুমতি নিতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ, সীমাবদ্ধতা সবকিছু আমাদের প্রেজেন্টেশনে বলেছি। তারা এখন চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন। আজকের আলোচনার আরও যদি কিছু ইনকরপোরেট করার থাকে সেগুলোও আমাদের পাঠাতে বলা হয়েছে। রবিবারের ভেতরে দিতে বলা হয়েছে। আমি সেগুলো দিয়ে দেব। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের যদি কোনও পরামর্শ থাকে সেগুলোও এখানে যোগ করতে বলা হয়েছে।‘
চলতি বছরের শুরু থেকে করোনাভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণার পর থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘টেস্ট, টেস্ট এবং টেস্ট’ নীতির ওপর জোর দিয়ে এসেছে। আর এই টেস্টের প্রয়োজনীয়তা শুরু থেকে এখন পর্যন্তও বিদ্যমান। দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে করোনাভাইরাস শনাক্তে আরটি-পিসিআর টেস্টকেই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মনে করা হয়। প্রথমে একটি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা হলেও বর্তমানে ৮৭টি পরীক্ষাগারে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তারপরও করোনা শনাক্তে দেশে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কাঙ্ক্ষিত সীমার নিচে রয়েছে। তাই করোনার সংক্রমণের শুরু থেকেই বিশেষজ্ঞরা র্যাপিড টেস্টের সুপারিশ দিলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। তবে দেরিতে হলেও করোনা পরীক্ষার জন্য অ্যান্টিবডি এবং অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, র্যাপিড টেস্টের অনুমোদন দেওয়া হলে তা করোনা রোগী শনাক্ত, মহামারিতে নেওয়া পরিকল্পনাসহ নানা নীতিনির্ধারণে সাহায্য করবে, বাড়বে রোগী সংখ্যাও।
আরও পড়ুন-