দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উজেলা নির্বাহী (ইউএনও) অফিসার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালার অনুমোদন মেলেনি আজও। তবে, ‘জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯’ অনুমোদনের জন্য ইতোমধ্যে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়েছে। গত ২৬ জুন (২০১৯) এই বিধিমালা প্রণয়নের সারসংক্ষেপ সচিব কমিটিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উপস্থাপন করা হয়। যেকোনও সময় এটি অনুমোদন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সচিব কমিটির জন্য উপস্থাপন করা সার সংক্ষেপে বলা হয়, বিদ্যমান ‘জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ১৯৮৬’তে অন্তর্ভুক্ত পদের নাম পরিবর্তিত হয়। বিদ্যমান নিয়োগ বিধিতে নেই এমন পদনামে পদ সৃষ্টি হওয়ায় বিধি সংশোধন বা হালনাগাদ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এর আগে প্রস্তাবিত নবসৃষ্ট পদ অন্তর্ভুক্ত করে, পরিবর্তিত নাম উল্লেখ করে ও সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পদোন্নতির সুযোগ রেখে প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি সংশোধন ও হালনাগাদ করার জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ তফসিল প্রণয়ন করা হয়। পরে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির প্রস্তাব পাঠানো হলে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি ‘জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০১৮’তে কিছু শর্তে অনুমোদন করে। সরকারি কর্মকমিশন ‘জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাজ কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০১৮’-এর প্রজ্ঞাপন ও তফসিলে কিছু সংশোধন ও সংযোজনের চূড়ান্ত করার সুপারিশ করে। পরবর্তী প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির অনুমোদিত নিয়োগ বিধিমালা বহাল রাখাসহ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশ পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ করা হয়। এতে পুনর্বিবেচনা করে অভিমত দেয় সরকারি কর্ম কমিশন।
সার সংক্ষেপে আরও বলা হয়, ‘‘এমএলএসএস, নাইটগার্ড, ফরাশ, মালি ও সুইপার পদগুলো ‘জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-১৯৮৬’-তে রাজস্ব খাতে বিদ্যমান আছে। সেজন্য বিভিন্ন জেলা প্রশাসনে ওই পদগুলোর বিপরীতে জনবল নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির অনুমোদন ও ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সুপারিশ করা বিধিমালা ২০১৮’-তে উল্লিখিত পদগুলো আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে। এই বিধান বিদ্যমান থাকলে এতে জেলা প্রশাসনের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটবে বিধায় বিষয়টি নিয়োগবিধি পরীক্ষা সংক্রান্ত উপ-কমিটিতে পাঠানো হয়। এই বিষয়ে গত ২৪ এপ্রিল নিয়োগবিধি পরীক্ষা উপ-কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯-এর স্বয়ংসম্পূর্ণ তফসিল প্রণয়ন করে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়। এ নিয়োগ বিধিমালায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর অনুমোদন রয়েছে বলেও সারসংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়।
প্রস্তাবিত বিধিমালা প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে অনুমোদন হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (সমন্বয় অনুবিভাগ) এ কে মহিউদ্দিন আহমদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখনও হয়নি।’ তবে, অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও তিনি জানান।