মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ (অব.) এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার (বীর উত্তম) রচিত ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ বইটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রকাশনা সংস্থা প্রথমা। রবিবার (২ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
বইটিতে বিতর্কিত শব্দ ব্যবহারের ব্যাপারে লেখক জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার একদিনের মধ্যে প্রকাশনা সংস্থা প্রথমা’র পক্ষ থেকে বইটি প্রত্যাহারে এই ঘোষণা দেওয়া হলো।
এই প্রসঙ্গে প্রথমা প্রকাশন-এর সিইও জাফর আহমেদ রাশেদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ১ জুন মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ (অব.) এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার বইয়ের একটি অনুচ্ছেদে ভুল রয়েছে বলে বঙ্গবন্ধু ও দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সেই বিবৃতিতে প্রথমা প্রকাশন-এর কাছেও বইটি পরিমার্জন করে প্রকাশের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তিনি। প্রথমা প্রকাশনা মনে করে, একজন লেখকের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে তার বই সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধনের। লেখকের দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে রবিবার বইটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে প্রথমা।
উল্লেখ্য, গত ১ জুন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ (অব.) এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার তার লেখা ‘ ১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ বইয়ে ভুল তথ্যের জন্য ক্ষমা চান। ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে প্রথমা প্রকাশন থেকে বইটি যখন প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল তখন এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
বইটির ৩২ নম্বর পৃষ্ঠার একটি স্থানে লেখা ছিল, ‘‘বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণেই যে মুক্তিযুদ্ধ আরম্ভ হয়েছিল তা আমি মনে করি না। এই ভাষণের শেষ শব্দগুলো ছিল ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’। তিনি যুদ্ধের ডাক দিয়ে বললেন ‘জয় পাকিস্তান’.......।”
এই অংশের জন্য ১ জুন তিনি জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘‘এই অংশটুকুর জন্য দেশপ্রেমিক অনেকেই কষ্ট পেয়েছেন বলে আমি বিশ্বাস করি। এই তথ্যটুকু যেভাবেই আমার বইতে আসুক না কেন, এই অসত্য তথ্যের দায়ভার আমার এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে কখনও ‘জয় পাকিস্তান’ শব্দ দুটি বলেননি। তাই আমার বইয়ের ৩২ নম্বর পৃষ্ঠার উল্লেখিত বিশেষ অংশ সম্বলিত পুরো অনুচ্ছেদটুকু প্রত্যাহার করে নিচ্ছি এবং একই সঙ্গে জাতির কাছে ও বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।’’
আরও সংবাদ: বইয়ে ‘জয় পাকিস্তান’ লেখায় ক্ষমা চাইলেন এ কে খন্দকার