বঙ্গোপসাগরে জরিপ চালিয়ে গত তিন বছরে ৪৩০ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীর জৈবতাত্ত্বিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে সরকার। এর মধ্যে ৩৬৪ প্রজাতির মাছ, ৩৩ প্রজাতির চিংড়ি, ২১ প্রজাতির কাঁকড়া এবং ১২ প্রজাতির সেফালোপোড (সামুদ্রিক মোলাস্কা পর্বের প্রাণী) ও স্কুইলা রয়েছে।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গবেষণা ও জরিপ জাহাজ এমভি মীন সন্ধানীর মাধ্যমে ২০১৬ সালে বঙ্গোপসাগরে শুরু হওয়া জরিপ অব্যাহত রয়েছে। মৎস গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে ২৩৭টি সামুদ্রিক মাছ শনাক্ত করা হয়েছে।
২০১৭–২০১৮ অর্থবছরে ৪২.৭৭ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন
সরকারি দলের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মৎস ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৭–২০১৮ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন হয়েছে ৪২ দশমিক ৭৭ লাখ মেট্রিক টন। মন্ত্রীর দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, ২০০১–২০০২ অর্থবছর থেকে (২০০৬–২০০৭ অর্থবছর বাদে) প্রতি অর্থবছরে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। ২০০১–২০০২ অর্থবছরে মাছ উৎপাদন হয় ১৯ লাখ টন। ২০০২–২০০৩ অর্থবছরে ২০ লাখ টন, ২০০৩–২০০৪ অর্থবছরে ২১ লাখ টন, ২০০৪–২০০৫ অর্থবছরে ২২ লাখ টন, ২০০৫–২০০৬ অর্থবছরে ২৩ লাখ টন, ২০০৬–২০০৭ অর্থবছরে ১৪ লাখ টন মাছ উৎপাদিত হয়।
প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, ২০১০–২০১১ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন ৩০ দশমিক ৬২ লাখ টনে দাঁড়ায়। পরের প্রতিবছর মাছের উৎপাদন বেড়েছে। ২০১৬–২০১৭ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন ছিল ৪১ দশমিক ৩৪ লাখ টন।