মানসম্মত ওষুধ তৈরিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে ওষুধ উৎপাদন বন্ধে ৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
কোম্পানিগুলোর লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার এ আদেশ দেন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
যেসব কোম্পানির লাইসেন্স বাতিলের আবেদন জানানো হয়েছে সেগুলো হচ্ছে, এক্সিম ফার্মাসিউটিক্যাল, এভার্ট ফার্মা, বিকল্প ফার্মাসিউটিক্যাল, নর্থ বেঙ্গল ফার্মাসিউটিক্যাল, রিমো ক্যামিকেল, রিদ ফার্মাসিউটিক্যাল, স্কাইল্যাব ফার্মাসিউটিক্যাল, স্পার্ক ফার্মাসিউটিক্যাল, স্টার ফার্মাসিউটিক্যাল, সুনিপুণ ফার্মাসিউটিক্যাল, ডলফিন ফার্মাসিউটিক্যাল, ড্রাগল্যান্ড, গ্লোব ল্যাবরেটরিজ, জলপা ল্যাবরেটরিজ, কাফিনা ফার্মাসিউটিক্যাল, মেডিকো ফার্মাসিউটিক্যাল, ন্যাশনাল ড্রাগ, টুডে ফার্মাসিউটিক্যাল, ট্রপিক্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল ও ইউনিভার্সেল ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এর পক্ষে অ্যাডভোকেট মঞ্জিল মোর্শেদ রিট দায়ের করেন। রিটে ১৪টি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পাঁচ সদস্যের এক বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে দেয়। এই বিশেষজ্ঞ কমিটি দেশের ৮৪টি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি পরিদর্শন করে ২০টি কোম্পানিকে মান সম্পন্নহীন ওষুধ উৎপাদনের জন্য দায়ী করে।
ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টে এই রিট দায়ের করা হয়। বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার পরও সরকার এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় রিট আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন:
এবার ঝিনাইদহে পুরোহিতকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা
অভিভাবকহীন রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজার
আর্থিক খাতের কিছু ক্ষেত্রে সাগর চুরি হয়েছে: সংসদে অর্থমন্ত্রী
/ইউআই/এসটি/এপিএইচ/