খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অনশনরত শিক্ষার্থীদের এক দফা— উপাচার্য অধ্যাপক মাছুদকে অপসারণের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও (ঢাবি) আমরণ অনশন কর্মসূচি দিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) ঢাবি সংসদ।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত ১০টায় এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন ঢাবি বাগছাসের সদস্য সচিব মহির আলম। বর্তমানে সংগঠনটির সদস্যরা টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।
মহির আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা প্রথমে প্রতীকী অনশন করেছি কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয়। আমরা কুয়েটের ভাইদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কুয়েট ভিসির অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন করবো। আমাদের ২৫ থেকে ৩০ জন সদস্য এই কর্মসূচিতে ইতোমধ্যে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি বাগছাসের জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখাও এই কর্মসূচি পালন করছে।
ঢাবি বাগছাসের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ক্যাম্পাসগুলোতে ভয় এবং দাসত্বের রাজনীতি কায়েম করেছিলো। ২৪-এর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা রক্ত দিয়ে, পঙ্গুত্ববরণ করে, সেই সংস্কৃতিকে হটিয়ে দেয়। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি নতুন চেতনা জাগ্রত হয়েছে— শিক্ষাঙ্গনে আর দাসত্বের রাজনীতি, কুক্ষিগত করে রাখার রাজনীতি থাকবে না। কিন্তু কুয়েটে যখন শিক্ষার্থীরা দলীয় ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করলো তখন ছাত্রদল স্থানীয় দলীয় লোকদের আক্রমণ করে শিক্ষার্থীদেরকে আহত করলো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কিন্তু কোনও ধরনের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আবার হামলাকারীরা যখন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দিলো, সেখানেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। উল্টো আন্দোলনকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহিষ্কার করেছে।
তিনি বলেন, কুয়েট শিক্ষার্থীরা মনে করছেন— রক্ষক এখন ভক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। কুয়েট ভিসি একটি দলের পলিসি মেকার হিসেবে কাজ করছে। ফলে শিক্ষার্থীরা এই ভিসিকে আর রাখতে চায়না। ফলে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে যে আন্দোলন ও অনশন কর্মসূচি পালন করছে তার সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণভাবে একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমরা এমন দলীয় স্বার্থে কাজ করা অভিভাবক দেখতে চাই না। শিক্ষার্থীদের অভিভাবক তারাই হবেন, যারা শিক্ষার্থীদের পালস বোঝেন।