খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অনশনরত শিক্ষার্থীদের একদফা— কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক মাছুদকে অপসারণের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে প্রতীকী অনশন করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস)।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বাগছাসের ঢাবি সংসদের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বাগছাসের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাহিদ আহসান বলেন, কুয়েটে ২৬ থেকে ২৭ ঘণ্টা ধরে শিক্ষার্থীরা অনশন করছেন। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অনশন করছেন। কুয়েট শিক্ষার্থীরা তাদের ভিসিও’র অপসারণের দাবিতে দীর্ঘ ২ মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন। যে ভিসির অভিভাবকসুলভ আচরণ করার কথা ছিলো, তিনি অভিভাবকসুলভ আচরণ না করে বহিরাগত, ভাড়াটে, বিএনপি এবং যুবদলের সন্ত্রাসীদের ক্যাম্পাসে নিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের ওপর প্রথমে হামলা করান। পরবর্তীকালে এই শিক্ষার্থীরা যখন আন্দোলনে নামেন, তখন এই শিক্ষার্থীদেরকেই বহিষ্কার করেন। ২২ জন শিক্ষার্থীর নামে মামলা হলেও সেই মামলা নিয়ে টু শব্দও করেননি বরং সিন্ডিকেট মিটিং ডেকে শিক্ষার্থীদেরকে বহিষ্কার করেছেন। আমরা কুয়েট ভিসির এমন প্রহসনমূলক আচরণের প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, কুয়েট ভিসি অধ্যাপক মাছুদের অপসারণের দাবিতে ৩০ জন শিক্ষার্থী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকলেও কোনও এক অজানা শক্তির বলে কুয়েট ভিসির কোনও কিছুই হয়নি। তিনি মোটেও অনুশোচনা প্রকাশ করেননি। শিক্ষার্থীদের কাছে যাননি। যে শক্তিবলে বা যারা এই জালেম ভিসিকে এখনও পদে বসিয়ে রেখেছেন, তাদের শিকড় এই বাংলাদেশে থাকবে না।
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাগছাসের ঢাবি সংসদের মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম বলেন, কুয়েটের ভিসি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তিনি শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নেননি। তিনি দলান্ধ হয়ে সন্ত্রাসী ছাত্রদল, যুবদলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। কুয়েট শিক্ষার্থীরা যখন হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেছেন, তখন সেই ১৭ জুলাইয়ের পুনরাবৃত্তি— হলের বিদ্যুৎ সংযো,পানির সরবরাহ বন্ধ করে হল ছাড়তে বাধ্য করেছেন।
তিনি বলেন, কুয়েট শিক্ষর্থীরা এই স্বৈরাচার ভিসির পদত্যাগ ও অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে আমাদের বেশকিছু সহযোদ্ধা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
এছাড়া প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন— বাগছাসের ঢাবি সংসদের মুখপাত্র রাফিয়া রেহনুবা, কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদাসসির, নিশিতা জাহানসহ একাধিক নেতা।