ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, আমাদের দেশে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিভাজন রয়েছে। এই বিভাজন আমাদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা। তবে পরিবেশ আন্দোলন রাজনৈতিক বিভাজনের ঊর্ধ্বে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘উন্নয়নের স্বার্থে পরিচ্ছন্ন সবুজ ক্যাম্পাস’ কর্মসূচির সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে পরিবেশ আন্দোলনকে ধারণ করার কথা বলেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, পরিবেশ আন্দোলনে কোনও প্রতিযোগী নেই। এখানে সবাই সহযোগী। আজকের এই আয়োজনটিতে সরকার, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, বুয়েট, জাতিসংঘ, নরওয়ে দূতাবাস সবাই অংশগ্রহণ করেছে। আমরা এই পার্টনারশিপকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাই। আশা করছি, আমাদের মধ্যে যে যোগাযোগ তৈরি হয়েছে সেটি অক্ষুণ্ন থাকবে।
আমরা অনেক বেশি কাজ করছি, এসব রাজনৈতিক বাকোয়াজ করছি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক রক্তের ওপর আমরা দাঁড়িয়ে আছি। সে কথা স্মরণ রাখতে হবে। আমরা কাজগুলো করার চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়ুদূষণ রোধে পাতা পোড়ানো বন্ধ করার জন্য অফিসিয়ালি নির্দেশ দিয়েছি। এ বিষয়টি নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। একইসঙ্গে আমরা ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত’ ক্যাম্পাস করতে চাই। আমি এখনই এর ঘোষণা দেবো না। আগে কাজ এগিয়ে নেবো, তারপর ঘোষণা দেবো। বিশ্ববিদ্যালয়ে আতশবাজির ব্যবহারও প্রায় শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন উপাচার্য।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে আমাদের অভ্যস্ত হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আমরা ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত’ ঘোষণা করতে চাই। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি আমাদের হর্নমুক্ত ক্যাম্পাসও গড়ে তুলতে হবে। সদিচ্ছা ও সচেতনতা থাকলে এ কাজগুলো করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।