গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনের সমর্থনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জবিশিস) ডাকে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ব্যানারে ক্যাম্পাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের দূতাবাসের উদ্দেশে এ পদযাত্রা শুরু হয়। তবে চলমান এসএসসি পরীক্ষা থাকায় পদযাত্রাটি তাঁতিবাজার মোড় থেকে ঘুরে পুনরায় ক্যাম্পাসে এসে একটি সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি দূতাবাসে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠিত সমাবেশে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক নূর নবী বলেন, মুসলিম বিশ্ব আজ নীরব। অনেক মুসলিম নেতা যেন মোসাদের এজেন্টের মতো কাজ করছেন। আমরা বাংলাদেশ থেকে তাদের উদ্দেশে বলতে চাই— তোমাদের আমরা বয়কট করলাম। পশ্চিমা নেতারা মুখে মানবতার কথা বলেন, অথচ তারাই ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করছে। এই গণহত্যার দায় তাদের নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্র অধিকারের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে বলবো, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজান, দক্ষ জনবল তৈরি করেন। যাতে আমরা ইসরায়েলের পণ্যের অলটারনেটিভ খুঁজে পেতে পারি। বিশ্বের মুসলিম নেতাদের উদ্দেশে বলতে চাই, ওয়েক আপ।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, আজকে স্মারকলিপি দিয়েছি। আগামী সপ্তাহে ফিলিস্তিনে গণহত্যা যদি বন্ধ না হয়, আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক অফিস ঘেরাও করতে যাবো।
স্মারকলিপি দিতে যাওয়া প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ করা এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ চারটি দাবি দিয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি দূতাবাসে স্মারকলিপি দিয়েছি। এ ছাড়া বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ সাতটি দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি আমরা বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছি।