রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তথ্য কর্মকর্তা পদে অ্যাডহকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ‘পৃষ্ঠপোষক’ রাশেদুল ইসলামের নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে তা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের আমতলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল কয়েকটি ছাত্র সংগঠন এই দাবি জানায়।
নিয়োগ বাতিলের দাবি জানানো ছাত্র সংগঠনগুলো হলো- ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র সংসদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী এবং ছাত্র গণমঞ্চ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রাকিব হোসেন বলেন, গতকাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পেরেছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবির সমন্বয়কদের পৃষ্ঠপোষক রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশেদ রাজনকে জনসংযোগ দফতরে অনুসন্ধান কাম তথ্য অফিসার পদে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্বজনপ্রীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই নিয়োগ সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। ইতিপূর্বে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি, রাবির ১৭ জনের সমন্বয়ক প্যানেলের ১২ জন সম্মত হয়ে রাবির প্রো-ভিসি নিয়োগে কলকাঠি নেড়েছে। আমাদের আশঙ্কা সমন্বয়ক পরিচয়ের প্রভাবে রাবির প্রোভিসি নিয়োগের মধ্য দিয়ে প্রশাসনকে জিম্মি করে রাশেদ রাজনের নেতৃত্বাধীন সমন্বয়কদের একটি অংশ শুধু নিয়োগ প্রক্রিয়া নয় আরও অনেক ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করছে।
তিনি বলেন, অতীতে জনসংযোগ দফতরে নিযোগ পাওয়া প্রশাসকও অন্য আরেকজন সমন্বয়কের বিভাগের ঘনিষ্ঠ শিক্ষক। বিভিন্ন হলে হল প্রাধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রেও ওই সমন্বয়কের প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। এই নিয়োগ ২৪-এর অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাবিরোধী এবং দুই হাজার শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানির সামিল। স্বজনপ্রীতি এবং অতীতের ন্যায় ক্ষমতার অপব্যবহার পরিহার করতে হবে।
বর্তমান প্রশাসন পরবর্তীতে অন্য কোনও নিয়োগ দেওয়ার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে উল্লেখ করে রাকিব হোসেন বলেন, আমরা এই নিযোগ প্রক্রিয়ার সংস্কার চাই এবং রাশেদুলের নিয়োগ অনতিবিলম্বে বাতিল চাই। এই নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে।
এর আগে সোমবার জনসংযোগ দফতরে অনুসন্ধান কাম তথ্য অফিসার পদে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ পান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাবির পৃষ্ঠপোষক রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশেদ রাজন। তার নিয়োগের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। তাকে নতুন কোনো কোটায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে।