জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রীদের আবাসিক হল থেকে পালাজ্জো ও টিপ পরা অবস্থায় আটক বহিরাগত যুবক আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের এক আবাসিক ছাত্রীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ বিএ ম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়। এ ছাড়া বিষয়টি তদন্তের জন্য নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের ওয়ার্ডেন সহযোগী অধ্যাপক হাবিবুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে হল প্রশাসন। বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) জেফরুল হাসান চৌধুরী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় অভিযুক্ত যুবক আশরাফুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১০টার দিকে ওই ছাত্রীর সঙ্গে হলে প্রবেশ করেন আশরাফুল। এ সময় তার কপালে টিপ, পরনে পালাজ্জো ও ঘোমটা দিয়ে মুখ ঢাকা ছিল। তার পোশাক ও হাঁটার ধরন দেখে হলের কয়েকজন ছাত্রীর সন্দেহ হলে বিষয়টি হল সুপারকে জানানো হয়। একপর্যায়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হল সুপারসহ কয়েকজন গিয়ে ওই ছাত্রীর কক্ষে আশরাফুলকে দেখতে পান। তাকে আটক করে হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে আশুলিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রবিবার বিকালে আশুলিয়া থানায় মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রাতে অভিযুক্ত ছাত্রীকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘শনিবার রাতের ঘটনায় বহিরাগত যুবকের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে। আর অভিযুক্ত ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম সিদ্দিক বলেন, ‘আসামি থানা হেফাজতে আছে। সোমবার তাকে আদালতে চালান করে দেওয়া হবে।’