ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতির বিপ্লব পরবর্তী সময়ের সব কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করেছে বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন জিয়া পরিষদ। শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামি শিক্ষা অনুষদ ভবনের সভাকক্ষে সংগঠনটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিকালে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরুন নাহার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গণআন্দোলন পরবর্তী সময়ে বিপ্লবী ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করে স্বৈরাচারের দোসরদের নিয়ন্ত্রণে থাকা শিক্ষক সমিতির সব কার্যক্রমকে অবৈধ ঘোষণা করে তিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সংগঠনটি। সিদ্ধান্তগুলো হলো- ৫ আগস্ট থেকে পরিবর্তিত সময়ে শিক্ষক সমিতির তহবিলের কোনও অর্থ ব্যয় করা যাবে না, করলে তা সংশ্লিষ্টদের ব্যক্তিগত দায় হিসেবে গণ্য হবে, রাষ্ট্র সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষক সমিতির সব কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলা হয় এবং রাষ্ট্র সংস্কার সম্পন্ন হলে অনুকূল পরিবেশে সব মহলের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজন করা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ বলেন, ‘গণআন্দোলন পরবর্তী সময়ে ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের নিয়ন্ত্রণে থাকা শিক্ষক সমিতির কোনও কার্যক্রমকে জিয়া পরিষদ বৈধ মনে করে না। ফলে আমরা আজ সভা করে সিদ্ধান্তগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এবং প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছি।’