সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গতকাল সোমবার (১৫ জুলাই) দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবারও উভয়পক্ষই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যেই সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করছেন ঢাবির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাবির মল চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের কর্মীদের স্লোগান নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে দেখা যায়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নতুন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ কোনও পেনশন নয়, এটি একধরনের জীবন বীমা। নতুন এই স্কিমে বিদ্যমান অনেকগুলো সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে আমাদের। একেকজনের জন্য একেক ধরনের পেনশন স্কিমে এটা বৈষম্য। বাংলাদেশের মাটিতে এধরনের বৈষম্য আমরা মানি না।
এদিকে সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাতের ভয়াবহ উপ্তাপ নেই, পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত। তবে সড়কে সাধারণ যান ও রিকশার উপস্থিত কম। সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও হলের বাইরে দেখা যায়নি। যদিও সকাল থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের উপস্থিত ছিল লক্ষ্যণীয়।
তবে দুপুর আড়াইটায় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ অবস্থান নেবে বলে জানা যায়। আর কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বেলা ৩টায় অবস্থান নেবেন বলে জানানো হয়েছে।