[বাংলাদেশের অপূর্ব ও শক্তিশালী নারীদের প্রতি উৎসর্গ]
পদ্মা নদীর তীরে প্রথম হাঁটা...
কুয়াশা, কী তুমি?
আরেক রূপে
উপচে পড় আমার পায়ের আঙুলের উপর
নিতে চাই ভিনদেশি স্বাদ
তোমার তীরে তুমিও কি?
তোমার সুনীল ঢেউ
ফিসফিস করে বলে নতুন স্রোতের কথা,
জিহ্বা আর প্রচণ্ড ঝড়ে
বুঝতে পারি না এখনো।
আমার দিকে তুমি কি ভালোবাসার দৃষ্টি দাও?
নাকি অন্য কিছু?
আমি পারি...
...বুঝতে তোমার জল আমাকে ধরে রেখেছে...
আমার মনে হয়...
প্রেমে পড়া
অনিশ্চয়তা নিয়ে
আবার...
হ্যাঁ তুমি একজন সে!
...একজন
নারী!
আছে গভীরতম জিনিসগুলো।
আছে অস্পষ্টতম জিনিসগুলো।
মৃত ঝিনুকে পরিপূর্ণ
যা তুমি সুনিপুণভাবে
তীরে ফেলে যাও
রহস্যের মতো।
আমাদের ভেতরের নিজস্ব স্রোতের মতো...
কাছে টেনে নেয় আর তারপর আবার
দূরে, সৃষ্টির কাছে থেকে
আমি লক্ষ্য করছি শুধু
আমরা ঢেউয়ের মতো,
আমাদের পেছনের নরম রেখায় নিঃশব্দে জমাট বাঁধা।
আমি লক্ষ্য করছি শুধু
স্রোতের সোজা কোনো পথ নেই,
বয়ে যায় আমাদের মাঝে।
এমনকি সীমানার মাঝেও।
এভাবেই 'নারী' হয়ে থাকো এখানে?
নীরবে জমাটবদ্ধ হয়ে?
মাঝখানে কিছু নেই...
ঢাকায় এই গল্পের প্রথম কিনারায়
তুমি, কুয়াশা, দাও না কোনো রকমের সূত্র
সীমানার, অন্য প্রান্তগুলোর,
এমনকি কিনারারও...
আমি এখনো, দেখো;
দেখতে পাই না, কুয়াশা,
কোনো সূত্র তুমি রেখে যাও না,
আমার পায়ের নিচের বালুকে
আমি কি ভরসা করতে পারব?
নাকি এটা কাদা?
দেখতে এটা আসলে খুব বেশি
ঘোলা।