রান্নার সময় ছোটখাট কিছু ভুলে যেমন খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়, তেমনি হারিয়ে যেতে পারে এর পুষ্টিগুণও। যারা নতুন রাঁধুনি, তারা অভিজ্ঞতার অভাবে প্রায়ই কিছু ভুল করে ফেলেন। জেনে নিন টিপস।
- নুডলস সেদ্ধ করার সময় প্রায়ই দেখা যায় সেটি গলে যায়, নয়তো বেশি শক্ত রয়ে যায়। নুডলস হোক বা পাস্তা, গলে গেলে স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। সেদ্ধ করার সময় একটু লবণ ফেলে দিন এতে, বিশেষত পাস্তার ক্ষেত্রে। নুডলস বা পাস্তা সেদ্ধ করার পরে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে হালকা তেল মাখিয়ে রাখলে সেটি ঝরঝরে থাকে।
- দ্রুত রান্না করতে গিয়ে কড়াইয়ে অতিরিক্ত জিনিস ভাজতে দিলে কিন্তু ঠিকমতো ভাজা হবে না। যাই ভাজুন না কেন, একসঙ্গে অনেক ভাজবেন না।
- রান্নার সময় তেল ঠিকমতো গরম হওয়া দরকার। ফোড়ন দেওয়ার সময় তেল গরম না হলে মসলার সুগন্ধ বেরোবে না। তাছাড়া তেল ঠিকমতো গরম না করে মাছ ভাজতে গেলে কড়াইতে আটকে যেতে পারে। একই সমস্যা হতে পারে সবজির ক্ষেত্রেও।
- রান্নার পদ্ধতি সম্পর্কে আগে থেকে জানা থাকলে রান্না করতে সুবিধা হবে। অনেক সময় সবজি বেশি সেদ্ধ হয়ে যায়, কখনও আবার কাঁচা থাকে। কোন সবজি হালকা ভাপিয়ে রান্না করলে ভালো, সেগুলো জানা দরকার। রান্নার সময় বাড়তি তাপমাত্রা খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট করতে পারে। তাই কতক্ষণ ধরে কোন রান্না করতে হবে, সে ব্যাপারে আগাম ধারণা থাকলে সুবিধা হয়।
- দুধ জ্বাল দেওয়ার সময় একটু বেখেয়াল হলেই হাঁড়ি উপচে পড়ে যায়। হাঁড়ির চারপাশে সামান্য তেল মেখে নিলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তবে অবশ্যই উচ্চতাপে দেওয়া যাবে না দুধ। মাঝারি আঁচে রাখতে হবে।
- মাংস হোক বা তরকারি, রান্নার পর ঢেকে রেখে দিন। ঝোলের স্বাদ মাংসে বা তরকারিতে ঢোকার জন্য সময় দিতে হয়। রান্না করে অন্তত ২০-৩০ মিনিট ঢেকে রেখে দিলে খাবারের স্বাদ ভালো হবে।
- প্রেসার কুকারে ডাল রান্না করতে গেলেই ঢাকনায় ডালের পানি লেগে মাখামাখি হয়। চারপাশ সবকিছু নোংরা হয়ে যায়। যা পরিষ্কার করতেও খুব কষ্ট হয়। একটি কৌশল খুব কার্যকর হতে পারে এক্ষেত্রে। প্রেসার কুকারে ডাল ফুটোনোর সময় একটি ছোট স্টিলের বাটি রাখুন। এতে করে মসুর ডাল ফুটবে না এবং কুকারের সিটি থেকে কেবল হাওয়া বের হবে। ডালের পানি বের হবে না। এছাড়া ডাল, পানি, লবণ, হলুদ ও তেল দিয়ে প্রেসার কুকার চুলায় বসানোর আগে ভেন্ট ওয়েটের নিচের অংশে কয়েক ফোঁটা তেল দিয়ে দিন। এরপর মাঝারি আঁচে চুলায় বসান। এতেও উপচে পড়বে না প্রেসার কুকার।