বড় হওয়ার সাথে সাথে আমাদের হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনের প্রভাব অনেক ক্ষেত্রেই ত্বকে দৃশ্যমান হয়। এ কারণে প্রায় সময়েই টিনএজারদের ত্বকে দেখা যায় ব্রণ। ত্বক চর্চার সঠিক রুটিন ব্রণ মোকাবিলা থেকে শুরু করে ত্বকের সাধারণ সমস্যাগুলো কমাতে সাহায্য করে। টিনএজারদের স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য কিছু টিপস জেনে নিন।
- ত্বকের যত্নের রুটিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ক্লিনজার ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করা। আমাদের মুখের ত্বকে ময়লা ও তেল জমে। একটি মৃদু ফেসিয়াল ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন ত্বক পরিষ্কার করার জন্য। দিনে দুইবার ব্যবহার করুন। নন-ফোমিং ক্লিনজার বেছে নিন যা ত্বক শুষ্ক করবে না। ক্লিনজারে ভারী রাসায়নিকও থাকা উচিত নয়। এগুলো ত্বককে রুক্ষ করে তোলে।
- ত্বককে ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজ করুন, এটি দিনে তিনবার করা উচিত যাতে ত্বক সর্বদা হাইড্রেটেড এবং ময়েশ্চারাইজড থাকে। ত্বকের ধরনের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন এবং এমন ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন যা আপনার এপিডার্মিসের ক্ষতি করবে না। যদি ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক হয়, তাহলে সিরামাইড-মিশ্রিত ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন।
- শক্তিশালী রাসায়নিক এবং বার্ধক্য বিরোধী উপাদান ত্বকে ব্যবহার করবেন না। তরুণ ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণে কোলাজেন থাকে। ফলে ত্বক এমনিতেই স্বাস্থ্যোজ্জ্বল দেখায়। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে অ্যান্টি-এজিং উপাদান এবং কঠোর রাসায়নিক সিরাম বা ক্রিম ব্যবহার করা এড়িয়ে চলা উচিত। তাই নিয়াসিনামাইড, রেটিনল, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড এবং এ ধরনের উপাদান ত্বকে ব্যবহার করবেন না।
- সতর্কতার সাথে মুখ এক্সফোলিয়েট করুন, কারণ অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েট ক্ষতির কারণ হতে পারে ত্বকের। রাসায়নিক এক্সফোলিয়েট করা এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে একটি মৃদু এবং ঘর্ষণহীন এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করুন।