দামী প্রসাধনী ব্যবহার করলেন, কিন্তু খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখলেন না। এতে কিন্তু ত্বকের বলিরেখা পড়া আটকানো যাবে না। তারুণ্যদীপ্ত ত্বক পাওয়া একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া ও কিছু সচেতন অভ্যাসের ফলাফল। জেনে নিন কোন কোন অভ্যাস আয়ত্ত করলে অনেকদিন পর্যন্ত তরুণ দেখাবে ত্বক।
- ত্বকের অকাল বার্ধক্যের পেছনে বড় ভূমিকা রয়েছে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যায় নিয়মিত এই রশ্মির সংস্পর্শে আসলে। তাই প্রতিদিন বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন। এমনকি মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন ছাড়া বের হওয়া ঠিক নয়।
- ত্বকের যত্নের জন্য মৌলিক কিছু নিয়ম ও রুটিন মেনে চলা জরুরি। যেমন ময়লা ও অতিরিক্ত তেল অপসারণের জন্য একটি মৃদু ক্লিনজার ব্যবহার করুন। হাইড্রেটিং টোনার বা এসেন্স ব্যবহার করুন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সিরাম, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড (হাইড্রেশনের জন্য) অথবা নিয়াসিনামাইড (সামগ্রিক ত্বকের স্থিতিস্থাপকতার জন্য) এর মতো উপাদান ব্যবহার করুন।
- হাইড্রেশন তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের মূল ভিত্তি। পানিশূন্য ত্বক নিস্তেজ ও ক্লান্ত দেখায় এবং খুব দ্রুত বলিরেখা পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এপর্যাপ্ত পানি পানি পান করলে ত্বক কোমল থাকে এবং ডিটক্সিফিকেশনে সহায়তা করে। পানি খাওয়ার পাশাপাশি হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন বা স্কোয়ালেনযুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। এই উপাদানগুলো ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য খাদ্য তালিকার দিকে নজর দেওয়াও জরুরি। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার পরিবেশের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে। রঙিন খাবার যেমন বেরি, শাকসবজি, টমেটো, গাজর, মিষ্টি আলু, বাদাম এবং বীজ খান। ফ্যাটি মাছও ত্বকের জন্য ভালো। এগুলোতে পাওয়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের লিপিড বাধা বজায় রাখতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন। কারণ এগুলো কোলাজেনের ক্ষতি করে এবং ত্বকের বার্ধক্যকে ত্বরান্বিত করে
- পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। পাশাপাশি গুরুত্ব দিন স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টকে। ঘুমের মধ্যে ত্বক মেরামতের কাজ চলে। এ সময় ত্বক নতুন কোষ এবং কোলাজেন তৈরি করে। অন্যদিকে স্ট্রেস বেশি কর্টিসল তৈরি করে। এটি একটি হরমোন যা কোলাজেন ভেঙে প্রদাহ এবং ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস বার্ধক্যকে ত্বরান্বিত করে।