উপকারী নানা অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে ভরপুর আপেল সিডার ভিনেগার। ইদানিং স্বাস্থ্য সচেতনরা অনেকেই খাচ্ছেন এই ভিনেগার। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও খনিজ লবণও পাওয়া যায় এই ভিনেগার থেকে। জেনে নিন আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।
- ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, এই ভিনেগার কোলেস্টেরল ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে, বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে। এটি ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধি, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত এবং হৃদরোগের উন্নতিতেও সাহায্য করে বলে প্রমাণিত হয়েছে। খাবার খাওয়ার আগে বা খাওয়ার সময় সামান্য পরিমাণ ভিনেগার, বিশেষ করে আপেল সিডার ভিনেগার পান করলে শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের (এলডিএল) মাত্রা কমে। শরীরে অপ্রয়োজনীয় চর্বি জমতে দেয় না এটি। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
- সকালের নাস্তার আগে অল্প পরিমাণে আপেল সিডার ভিনেগার খেলে এর প্রাকৃতিক অ্যাসিড অন্ত্রে খাবারকে আরও ভালভাবে ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে।
- ওয়েবমেডের গবেষণা বলছে, সারা দিনের ক্ষুধা নষ্ট করে দেওয়ার জন্য দিনে একবার ১ থেকে ২ চা-চামচ ভিনেগারই যথেষ্ট। এতে ওজন কমানো সহজ হয়।
- শরীরের প্রদাহ দূর করে ভিনেগার। বিভিন্ন ক্ষতিকর জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে। এর অম্লীয় বৈশিষ্ট্য পরিপাকতন্ত্রের ক্রিয়া সহজ করে। হজম সহজ করে। তাই নিয়মিত ভিনেগার খেলে ত্বক ও পেটের স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
- আপেল সিডার ভিনেগার শরীরকে আরও দক্ষতার সাথে তার শক্তি ব্যবহার করতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড চর্বি বিপাক এবং হজমে সহায়তা করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে আপেল সিডার ভিনেগার ও মধু দিয়ে তৈরি পানীয় খেতে পারেন। এই ভিনেগারে রয়েছে এমন একটি ব্যাকটেরিয়া যা শরীরের জন্য উপকারী। এটি খাবার হজম করে দ্রুত ও দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্য।
জেনে নিন
১। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, গ্যাস্ট্রোপেরেসিস ও আলসারের সমস্যা থাকলে ভিনেগার খাওয়া যাবে না। এছাড়া বুক জ্বালাপোড়া করলে, পেটে ফোলা ভাব হলে এবং বমি বমি ভাব হলে ভিনেগার খাওয়া যাবে না।
২। পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন ভিনেগার। তবে দিনে ২ টেবিল চামচের বেশি খাবেন না। সালাদের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যায় এই ভিনেগার।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, ওয়েবমেড ও মেডিসিন নেট