ত্বকের যত্নে নিয়মিত ক্লিনজার ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করছেন, তারপরেও যেন ত্বকের নিস্তেজ ভাব কমছেই না। কেন এমন হচ্ছে?
পুষ্টির অভাবে ত্বক মলিন ও নিস্তেজ দেখাতে পারে। এ ধরনের ত্বকে কেবল প্রসাধনী ব্যবহার করলেই হবে না, মনোযোগ দিতে হবে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগানোর ব্যাপারে। এক্ষেত্রে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন। এই খাবারগুলো যেমন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তেমনি প্রাকৃতিকভাবে ত্বক উজ্জ্বল, নরম করতেও সহায়ক। সম্প্রতি একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে রূপ বিশেষজ্ঞ এবং সৌন্দর্য বিষয়ক ভারতীয় লেখক বসুধা রাই ‘গডেস গ্লো জুস’ এর রেসিপি শেয়ার করেছেন। তিনি বলছেন নিয়মিত এই জুস খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা আসবে ভেতর থেকে।
গডেস গ্লো জুসে পাঁচটি শক্তিশালী উপাদান রয়েছে - বিটরুট, গাজর, আমলকী, হলুদ এবং আদা। ২-৩টি বিটরুট (আকারের উপর নির্ভর করে) ৬-৮টি গাজর (আকারের উপর নির্ভর করে), ৫টি আমলকী , কাঁচা হলুদের একটি ছোট টুকরো ও আদার একটি ছোট টুকরো নিন। উপকরণগুলো জুসারে দিয়ে জুস বানিয়ে খান। যদি জুসার না থাকে, তাহলে মিক্সিতে সবকিছু মিশিয়ে ছেঁকে নিন।
যেভাবে গ্লো জুস ত্বক উজ্জ্বল করবে
- বিটরুট ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এর প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য ব্রণ কমাতে এবং ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।
- গাজর ভিটামিন এ (রেটিনল) এর একটি দুর্দান্ত উৎস। রেটিনল ত্বকের কোষ উৎপাদনে সহায়তা করে, ছিদ্র খুলে দেয়, ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে এবং কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়।
- আমলকী ভিটামিন সি এর দারুণ উৎস। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মুক্ত র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে এবং তারুণ্যময় ত্বকের জন্য কোলাজেন উৎপাদনকে সমর্থন করে।
- হলুদের প্রধান সক্রিয় যৌগ কারকিউমিন, অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং বার্ধক্যের দৃশ্যমান লক্ষণগুলোকে দূর করতে সাহায্য করে এই যৌগ। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্রণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
- আদার শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বকের বার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেও সমৃদ্ধ যা উজ্জ্বল করতে পারে ত্বক।