নিয়মিত শ্যাম্পু-কন্ডিশনার ব্যবহার করার পরেও চুল কেমন যেন প্রাণহীন হয়ে পড়ছে। নানা কারণে এমনটা হতে পারে। পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া, পান কম খাওয়া, ধোঁয়া- ধুলা ও দূষণের প্রভাবে চুল রুক্ষ হয়ে পড়তে শুরু করে। এছাড়া চুল ভেঙে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এসব সমস্যার সমাধানে কাজে লাগাতে পারেন বিভিন্ন ধরনের ফল। চুলে বাড়তি পুষ্টি জোগাতে ও আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে ফলের মাস্ক। জেনে নিন কীভাবে বানাবেন এবং ব্যবহার করবেন।
কলার প্যাক
পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, বায়োটিনে সমৃদ্ধ কলা যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তেমনি এটি ভালো চুলের জন্যেও। কলায় থাকা ভিটামিন এ এবং বায়োটিন আর্দ্রতা প্রদান করে চুলে। ফলে চুল নরম এবং সুন্দর থাকে। পটাশিয়াম চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে, ফলে চুল ঝরা বন্ধ হয়। একটি পাকা কলা চটকে ৩ টেবিল চামচ টক দই ও ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন। ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন চুল।
পেঁপের প্যাক
খুশকি ও চুলের আগা ফাটার সমস্যা দূর করবে পাকা পেঁপে। এতে থাকা প্যাপাইন নামক উৎসেচক মাথার ত্বক থেকে মৃত কোষ সরাতে সাহায্য করে। এর ভিটামিন এ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চুলের জন্য উপকারী। রুক্ষ চুল নরম করতেও পেঁপের প্যাক কার্যকর। ২ টেবিল চামচ পাকা পেঁপের পেস্টের সঙ্গে মিশিয়ে নিন ২ টেবিল চামচ নিমপাতা বাটা ও ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল। কয়েক মিনিট মিশ্রণটি ম্যাসাজ করুন চুলের গোড়ায়। এরপর আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত চুলে রাখুন ২০ মিনিট। শ্যাম্পু করে নিন শেষে।
আমলকী
চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে দারুণ কার্যকর আমলকী। ভিটামিন সি, ই এবং রকমারি খনিজে ভরপুর ফলটি চুল পড়া কমায় ও অকালপক্কতা রোধ করে। ৪ টেবিল চামচ আমলকি পাউডারের সঙ্গে মিশিয়ে নিন ১ টেবিল চামচ মধু ও ২ টেবিল চামচ টক দই। শ্যাম্পু করা পরিষ্কার চুলে ভালো করে মেখে আধা ঘণ্টা রাখুন এই প্যাক। এরপর ধুয়ে ফেলুন।
লেবু
চুল ঝলমলে রাখতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু ব্যবহার করতে পারেন। একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল নিন। একটি আস্ত লেবুর রস মিশিয়ে তেলটি ফ্রিজে রাখুন। ঠান্ডা মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন চুল। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করলে চুল সিল্কি হবে। নারকেল তেল, জলপাই তেল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগালেও উপকার পাবেন।