শীতের প্রকোপ বেড়েছে। ত্বক টানটান হয়ে পড়ছে থেকে থেকে। এ সময়ে অনেকেই হাতের কাছে থাকা বডি ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ক্রিম ব্যবহার করেন মুখের ত্বকেও। তবে রূপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অভ্যাস ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। মুখের ত্বক এবং শরীরের জন্য ময়েশ্চারাইজার আলাদা থাকতে হবে।
মূল পার্থক্য কী?
আমাদের মুখের ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজারগুলো হালকা টেক্সচারের হয়। মুখের ত্বকের এপিডার্মিস আমাদের শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় পাতলা, তাই আমাদের মুখের ত্বক সংবেদনশীল হয় বেশি। ফলে মুখের ত্বকের জন্য ওজনে হালকা এমন ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। এটি ত্বকের গভীরে যায় এবং কোষকে ময়শ্চারাইজ করে। এগুল্লো আমাদের রোমকূপের ছিদ্রগুলোকে আটকে রাখে না।
পুরুষ এবং নারীদের ত্বকেও রয়েছে পার্থক্য। একটি ভালো ফেস ময়েশ্চারাইজারে সবসময় হাইপোঅ্যালার্জেনিক এবং নন-কমেডোজেনিক উপাদান থাকা উচিত, যার মানে এটি কোনও ধরনের অ্যালার্জির উদ্রেক করবে না এবং রোমকূপ কখনই আটকে রাখবে না। এসব উপাদান বডি ময়েশ্চারাইজারে পাওয়া যায় না।
আমাদের শরীরের ত্বকের উপরের স্তরটি আমাদের মুখের ত্বকের চেয়ে পুরু। ফলে হালকা ময়েশ্চারাইজার শরীরের ত্বকের জন্য কার্যকর না। কারণ এগুলো আমাদের ত্বকে ঠিক মতো প্রবেশ করতে পারে না।
বডি ময়েশ্চারাইজার মুখের ত্বকে ব্যবহার করলে কী হয়?
- এর ঘন টেক্সচার ত্বকের ছিদ্রগুলো আতকে দেয় এবং ব্রণের প্রকোপ বাড়ে।
- কৃত্রিম সুগন্ধি মুখে অ্যালার্জির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- বডি ময়েশ্চারাইজারে ব্যবহৃত রাসায়নিক আপনার মুখের গঠন অনুসারে নাও হতে পারে যা ফুসকুড়ি এবং লালচে ভাবের কারণ হতে পারে