ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের চমৎকার উৎস চিয়া সিডকে বলা হয় সুপার ফুড। ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ মেলে ছোট্ট এই বীজ থেকে। ওজন কমাতে ও সুস্থ থাকতে চিয়া সিড নিয়মিত খেতে পারেন। কখন এবং কী পরিমাণে খাবেন উপকারী এই বীজ? জেনে নিন সেটাই।
- সকালে খালি পেটে চিয়া বীজ ভেজানো পানি খেতে পারেন। এতে মেটাবোলিজম বাড়বে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকবে।
- ব্যায়াম করার ৩০ মিনিট আগে চিয়া সিড খান, এনার্জি থাকবে অনেকক্ষণ।
- সারারাত চিয়া সিড ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে স্মুদিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। শরীর ডিহাইড্রেটেড হবে না।
- সকালের নাস্তায় ওটস, দই ও বিভিন্ন ফলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন চিয়া সিড। ফাইবার সমৃদ্ধ এই বীজ অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখবে।
- সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের মাঝে চিয়া সিডের তৈরি খাবার খেতে পারেন। এতে দুপুরের খাবার অতিরিক্ত খাওয়া হবে না।
- দুপুর কিংবা রাতের খাবার খাওয়ার ২০ মিনিট আগে চিয়া বীজ খান। এতে অতিরিক্ত ক্ষুধা কমবে এবং পরিমাণ মেনে খাওয়া সম্ভব হবে।
- সালাদের ড্রেসিং হিসেবে চিয়া সিড ব্যবহার করতে পারেন। লো ক্যালোরি মিলের সঙ্গে দারুণ জমবে এই সালাদ।
- রাতের খাবার শেষে চিয়া সিড খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়। অ্যাসিডিটিও নিয়ন্ত্রণ করে এটি।
- হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের একটি রিপোর্ট বলছে, প্রতিদিন ২৮ গ্রাম অথবা ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ চিয়া সিড খাওয়া যেতে পারে। ইউএসডিএ ন্যাশনাল নিউট্রিয়েন্ট ডাটাবেস অনুসারে, এক আউন্স (প্রায় দুই টেবিল চামচ) চিয়া বীজে রয়েছে ১০ গ্রাম ফাইবার, ৪ গ্রাম প্রোটিন, ৯ গ্রাম স্বাস্থ্যকর চর্বি, দৈনন্দিন চাহিদার ১৮ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ৩০ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম ও ২৭ শতাংশ ফসফরাস।
- চিয়া সিড খাওয়ার ব্যাপারে কিছু সাবধানতাও মেনে চলতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। চিয়া বীজ তাদের ওজনের ১২ গুণ পানি শোষণ করতে পারে। ফলে এগুলো পেটে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত হয়। এটি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া হলে পেট ফাঁপতে পারে বা পেটে ব্যথা হতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইকোনোমিক টাইম