দিন কিংবা রাতের একটি নির্দিষ্ট সময় ক্যালরি গ্রহণ থেকে বিরত থাকাই হচ্ছে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। ওজন কমাতে এই ফাস্টিং বেশ কার্যকর ও নিরাপদ উপায়। পরিপূর্ণ সুস্থ যেকোনো ব্যক্তি এই ফাস্টিংয়ের মাধ্যমে বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলতে পারেন। প্রতিদিন বা সপ্তাহে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য না খেয়ে ওজন কমানোর এই উপায় বিজ্ঞানসম্মত। নির্দিষ্ট সময় খাবার না খেলে শরীর তার চিনির ভাণ্ডার পোড়াতে শুরু করে। পাশাপাশি চর্বিও ক্ষয় হতে শুরু করে। তবে অনেকেই দ্বিধান্বিত থাকেন ফাস্টিং চলাকালীন সময় পানি খাওয়া যাবে নাকি যাবে না সেটা নিয়ে। শুধু পানি নয়, আরও কয়েকটি পানীয়তে চুমুক দিতে পারেন ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের সময়। এতে ডিহাইড্রেশন থেকেও দূরে থাকা সম্ভব।
- নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন পানি। লেবু বা পুদিনা মিশিয়েও খেতে পারেন পানি। ক্যালোরি ছাড়াই এই পানীয় আপনাকে রাখবে সতেজ। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি খান। হজমে সহায়তা করবে এটি।
- চিনি ছাড়া ভেষজ চা খেতে পারবেন। ক্যামোমাইল এবং পুদিনা চায়ের মতো ক্যাফিনমুক্ত চা ফাস্টিংয়ে ব্যাঘাত না ঘটিয়েই আপনাকে দেবে প্রশান্তি। খেতে পারেন আদা বা তুলসি চা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এই চা।
- ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন। চিনি এবং দুধ ছাড়া এই কফি বিপাক বৃদ্ধি করে।
- খেতে পারেন ডাবের পানি। সামান্য ক্যালরিযুক্ত কিন্তু ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয় এটি। ওয়ার্কআউটের পরে নিজেকে হাইড্রেট করতে চুমুক দিতে পারেন ডাবের পানিতে।
- জিরা পানি খেলেও ব্যাঘাত ঘটবে না ফাস্টিংয়ে। এটি হজম সহায়ক। সারারাত জিরা ভিজিয়ে রাখুন, পরদিন চুমুক দিন পানিতে। রিফ্রেশিং এবং ডিটক্সিফাইং এই পানীয় আপনাকে রাখবে সতেজ।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া