গ্রীষ্মের রসালো ফল আম উঠে গেছে বাজারে। আম শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, পুষ্টিগুণেও এর জুড়ি মেলা ভার। আম শ্বেতসারের ভালো উৎস। পাশাপাশি এতে আছে শর্করা, গ্লুকোজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, আঁশ, ভিটামিন বি-১, বি-২, থায়ামিন, ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফসফরাস। তবে ডায়াবেটিস আছে যাদের, তারা আম খেতে পারবেন কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে অনেকের মধ্যেই।
‘ডায়াবেটিস রোগীরা অবশ্যই আম খেতে পারবেন। তবে কয়টি খাবেন এবং কখন খাবেন- সেটি গুরুত্বপূর্ণ’- বলেন বাংলাদেশ মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল ও ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের ক্লিনিক্যাল ডায়াটিশিয়ান ও নিউট্রিশন কনসালটেন্ট ফাতেমা সিদ্দিকী ছন্দা।
আম এমন একটি ফল যা লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চমৎকার স্ন্যাকস। আমে থাকা আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, পাশাপাশি ব্লাড গ্লুকোজকে বাড়তে দেয় না। আমে থাকা ভিটামিন এ এবং সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমে থাকা পটাশিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
ডায়াবেটিস রোগীরা কী পরিমাণ আম খাবেন?
দিনে একটির বেশি আম খাবেন না ডায়াবেটিস রোগীরা। কারণ আমের মিষ্টি রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। শর্করাযুক্ত অন্যান্য খাবারের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে আম খাওয়া যায় অনায়াসেই। তবে রাতে ঘুমানোর আগে আম খাবেন না ডায়াবেটিস রোগীরা। সন্ধ্যা বা রাতে আম খেলে ক্যালরি খরচ করার সময় পাওয়া যায় না। সকালে আম খেলে সারাদিনে নানা কাজে খরচ হয়ে যায় ক্যালরি। আমের সঙ্গে অন্যান্য ফল মিশিয়ে সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন। এই সালাদে গোলমরিচের গুঁড়া ও লেবুর রস যোগ করতে পারেন।
আম খাওয়ার পর ডায়াবেটিস বেড়ে যাচ্ছে কিনা সেটা লক্ষ রাখবেন অবশ্যই।