দুই দফা দাবিতে আন্দোলনরত ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীরা আগামী সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেয় সম্মিলিত ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থী পরিষদ (সফিশিপ)। বৈঠক শেষে এ কথা জানান তারা।
দুই দফা আন্দোলন নিয়ে মাঠে নেমেছিল সফিশিপ। তাদের দাবিগুলো হলো– সরকারি ফিজিওথেরাপি কলেজ প্রতিষ্ঠা (কলেজের বরাদ্দ করা জায়গা উদ্ধার ও কলেজ বাস্তবায়ন) এবং সব সরকারি হাসপাতালে ফিজিওথেরাপি বিভাগ তৈরি ও প্রথম শ্রেণির ফিজিওথেরাপিস্ট নিয়োগ দেওয়া।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীরা। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলনকারীরা জানান, আমাদের নিয়মতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি মহাপরিচালক গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। আমাদের দুই দফা দাবিসহ বিদেশে জনশক্তি কীভাবে পাঠানো যায় সেই বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ লক্ষ্যে একটি অফিশিয়াল ফরমেট তৈরি করতে হবে। আগামী রবিবার কিংবা সোমবার এই দুই দিনের মধ্যে মহাপরিচালক লিখিত ব্যবস্থা নেবেন।
তারা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে আগামী সোমবার পর্যন্ত কমিটি করার সময় দেওয়ার জন্য। এটা আমাদের কাছে ইতিবাচক মনে হয়েছে। তাই আমরা সব শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী সোমবার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করবো। যদি কমিটি করা না হয়, তাহলে আমরা আবারও স্বাস্থ্য অধিদফতরে অবস্থান নেবো।
এর আগে পরিষদের সমন্বয়ক মো. ফজলুল হক বাবু বলেন, ‘ডাবল জিপিএ ৫ নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ফ্যাকাল্টির অধীনে পাঁচ বছর মেয়াদি (বাধ্যতামূলক এক বছরের ইন্টার্নশিপসহ) ব্যাচেলর অব ফিজিওথেরাপি/ব্যাচেলর অব সাইন্স ইন ফিজিওথেরাপি প্রফেশনাল ডিগ্রি সম্পন্ন করার পরও সরকারিভাবে আমাদের কোনও কর্মক্ষেত্র নেই। এ ধরনের বৈষম্য আর মেনে নেওয়া যাবে না।’
সমন্বয়ক মো. আহমাদুল্লাহ হিল গালিব বলেন, ‘১৯৬০ সালে বাংলাদেশে অধ্যাপক ডা. আবুল হোসেনের হাত ধরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফিজিওথেরাপি বিভাগ চালু হয়। অথচ ২০২৪ সালে এসেও সরকারি হাসপাতালে ফিজিওথেরাপিস্ট পদ শূন্য।’
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন ফিজিওথেরাপি শিক্ষক ও চিকিৎসকরা।