X
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
৮ বৈশাখ ১৪৩২
বিশ্ব মশা দিবস আজ

বছরজুড়ে ভোগায় মশাবাহিত রোগ

সাদ্দিফ অভি
২০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০২আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০২

বিশ্বে মশা আছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার প্রজাতির। এর মধ্যে ১০০ প্রজাতির মশা কেবল রোগ ছড়ায়। এখনও পর্যন্ত মশা থেকে ২০ ধরনের রোগ ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। গবেষকদের মতে, বাংলাদেশে মশা আছে ১২৩ প্রজাতির, এরমধ্যে শুধু ঢাকাতেই  আছে ১৪ প্রজাতির। এ পর্যন্ত দেশে মশাবাহিত পাঁচটি রোগের সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলো হচ্ছে— ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং জাপানিজ এনসেফালাইটিস।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সারা বিশ্বে মশাবাহিত রোগে বছরে সাত লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়। যেসব সংক্রামক রোগে মানুষ আক্রান্ত হয়, তার ১৭ শতাংশই মশাবাহিত।

আজ  ২০ আগস্ট, ‘বিশ্ব মশা দিবস’। বিশ্বব্যাপী মশাবাহিত রোগের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসাধারণকে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্য প্রতি বছর ২০ আগস্ট দিবসটি পালন করা হয়। ১৯৩০ সাল থেকে ‘বিশ্ব মশা দিবস’ পালিত হয়ে আসছে।

এর আগে দীর্ঘদিন গবেষণার পর ভারতীয় মেডিক্যাল সার্ভিস কোরের মেডিক্যাল অফিসার রোনাল্ড রস ১৮৯৭ সালে উদ্ভাবন করেন অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া পরজীবী বহন করতে পারে। তিনি ২০ আগস্ট তার আবিষ্কারের এই দিনটিকে ‘মশা দিবস’ বলে অভিহিত করেছিলেন। ‘লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন’ রোনাল্ড রসের এই  আবিষ্কারের তাৎপর্য তুলে ধরতে ২০ আগস্টকে ‘বিশ্ব মশা দিবস’ হিসেবে নামকরণ করে।

ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি বান্দরবানে

স্বাস্থ্য অধিফতরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার মানুষ। মারা গেছে ৪ জন। এর আগে ২০১৮ সালে ম্যালেরিয়া রোগী ছিল ১০ হাজার ৫২৩ জন। ওই বছর মৃত্যু হয়েছিল ৭ জনের। আর  ২০২২ সালে এই রোগে আক্রান্ত রোগী বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ১৯৫ জনে, মারা যায় ১১ জন। অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে ম্যালেরিয়া রোগী বেড়েছে ৭৩ শতাংশ এবং মৃত্যু বেড়েছে ৫৭ শতাংশ। অবশ্য এর আগে সবোর্চ্চ ২০০০ সালে মশাবাহিত রোগ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয় ৫৪ হাজার ২২৩ জন। ওই বছর এ রোগে মৃত্যু হয়েছিল ৪৭৮ জনের।

স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণু ছড়ায়। বাংলাদেশে মোট ৩৬ প্রজাতির অ্যানোফিলিস মশা দেখা যায়। এর মধ্যে সাতটি প্রজাতি দেশে ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ায়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ একরামুল হক জানান, দেশে ম্যালেরিয়াপ্রবণ ১৩টি জেলার ৭২টি উপজেলার মধ্যে শুধু বান্দরবান জেলায় ৮০ শতাংশ ম্যালেরিয়া রোগী পাওয়া যায়। আবার এই জেলার মধ্যে লামা, আলীকদম ও থানচি— এই তিন উপজেলায় ম্যালেরিয়া রোগী সবচেয়ে বেশি।

ডেঙ্গু এখন সারা বছরের রোগ

মশাবাহিত অন্যান্য রোগের তুলনায় বাংলাদেশে মূলত ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ তুলনামূলক বেশি। দেশে ২০০০ সাল থেকে প্রথম ডেঙ্গু রোগীর তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সে বছর ডেঙ্গুতে মারা যায় ৯৩ জন এবং আক্রান্ত হয় ৫ হাজার ৫৫১ জন। তবে দেশে ডেঙ্গুর বিস্তার সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে ২০১৯ সালে। সে বছর সরকারি হিসেবে ডেঙ্গু জ্বরে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে ভর্তি হন ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। গত বছর (২০২২) দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা যায় ১০৫ জন এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ২৮ হাজার ৪২৯ জন। চলতি বছরেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা লাখের কাছাকাছি। আর  চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত মারা গেছে ৪৬৬ জন, যা এ যাবৎ কালের মধ্যে সর্বোচ্চ।

কীটতত্ত্ববিদ ড. জি এম সাইফুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত দেখেছি যে, মার্চ-এপ্রিলে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যেতো। ২০১৩ সালের পর থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দুই-এক মাস বাদ দিয়ে প্রায় সব মাসেই ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। ২০১৬ থেকে এ পর্যন্ত (আগস্ট ২০২৩) প্রতি মাসেই একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এখন সারা বছর ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়। গত বছরের তুলনায় এ বছর একটু বেশি রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো ছাড়া মশার আচরণে কোনও পরিবর্তন দেখা যায়নি। বৃষ্টিতে সুযোগ পেয়েছে, পরিবেশে লার্ভা আছে, মশা আছে তাই ব্রিডিং বেড়েছে। ভাইরাস আগে থেকে ছিল, মশা আক্রান্ত হয়ে গেছে।’  

উত্তরাঞ্চলের ১০ জেলায় ২৫ হাজার ফাইলেরিয়া রোগী

চলতি বছরের ১৩ মে লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল করেছে বাংলাদেশ। তবে এখনও পা ফোলা ও অণ্ডকোষ ফোলা রোগী রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ও ‘ফাইলেরিয়া নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে চিকিৎসক কার্যক্রম এবং কালাজ্বর নির্মূল কর্মসূচি’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান।

তিনি জানান, আমরা ২০১৫ সাল পর্যন্ত ফাইলেরিয়া-প্রবণ এলাকার মানুষকে ওষুধ খাইয়েছি। এর পর দেখি যে, নতুন করে কোনও রোগী পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এখনও পা ফোলা ও অণ্ডকোষ ফোলা রোগী রয়ে গেছে।

কিউলেক্স মশার দুটি প্রজাতি এবং ম্যানসোনিয়া মশার একটি প্রজাতির মাধ্যমে ফাইলেরিয়া রোগ ছডায়। দেশের উত্তরাঞ্চলের ১০টি অ্যান্ডেমিক জেলায় প্রায় ২৫ হাজার সন্দেহভাজন হাইড্রোসিল রোগী আছে বলে জানিয়েছে আইসিডিডিআর-বি। যারা সামাজিক ভ্রান্ত ধারণার কারণে স্বাস্থ্যসেবা নিতে লজ্জা বোধ করে। সংস্থাটির তথ্যমতে, এমনকি এই ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠী হাইড্রোসিল সার্জারির খরচ বহন করতে পারে না। তারা চিকিৎসার বাইরে থেকে যায়, যার ফলে তারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সমানভাবে অংশ নিতে পারে না।

আইসিডিডিআর-বি’র সমীক্ষায় দেখা যায়, তুলনামূলক অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া রোগ বেশি ছড়িয়েছে ৩৪ জেলায়। এর মধ্যে ১৯টি জেলা উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে, আর বাকি ১৫টি জেলাকে তুলনামূলক কম প্রাদুর্ভাব এলাকার তালিকায় রাখা হয়েছে। উচ্চঝুঁকির জেলার মধ্যে রয়েছে— রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, বরগুনা, বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জ।

আইসিডিডিআর-বি’র নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল সার্ভিসেস ডিভিশনের রিসার্চ ইনভেস্টিগেটর ডা. শমিক মারুফ জানান,  পুরুষের ক্ষেত্রে এই রোগ হলে তাকে বলা হয় হাইড্রোসিল। এই ধরনের রোগীর শুরুতে উপসর্গ থাকতেও পারে, নাও থাকতে পারে। যদি সেটি হাতে হয় হাত ফুলবে, পায়ে হলে পা ফুলবে। নারীদের ক্ষেত্রে স্তন ফুলে যায়, পুরুষের অণ্ডথলি ফোলে। হাতে হলে হাত তো কেটে ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না। হাতে-পায়ে তাই অপারেশন করে খুব একটা লাভ হয় না, স্থায়ীভাবে ক্ষতি হয়ে যায়। হাইড্রোসিল যেখানে হয়, সেটি শরীর থেকে আলাদা একটি জায়গায় হচ্ছে। আলাদা হওয়ার কারণে পানি যেখানে জমে, কেটে সেটি আলাদা করে নিয়ে আসা যায়। তারপর সেলাই করে দিলে সেই ফোলা আর থাকছে না।

৩৬ জেলায় জাপানিজ এনসেফালাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত ৩৮৮

জাপানিজ এনসেফালাইটিস বাংলাদেশে সর্বপ্রথম শনাক্ত হয়েছিল ১৯৭৭ সালে, ময়মনসিংহ জেলার একটি গ্রামে। সে সময়ে ২২ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, এরমধ্যে ৭ জন মারা যান। তবে এ নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৩ সাল থেকে। সে সময় রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, চট্টগ্রাম— এই ৪টি জেলার উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে নজরদারি করা হলেও সারা দেশের ৬৪ জেলায় সার্ভেলেন্স শুরু হয় ২০১৭ সাল থেকে, যা এখনও চলছে।

বর্তমানে সারা দেশে ৮২টি সরকারি হাসপাতাল এবং ২১টি বেসরকারি হাসপাতালে জাপানিজ এনসেফালাইটিস রোগী শনাক্তের লক্ষ্যে সার্ভেলেন্স চলমান রয়েছে।

চলতি বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিরআর-বি) এক কর্মশালায় জানানো হয়, দেশে গত ৫ বছরে ১২ হাজার ১৭২ জনের নমুনা পরীক্ষায় দেখো গেছে, এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮৮ জন। আর ৪ বছরে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৭৯ জনের। সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে রাজশাহী জেলা। মূলত মে থেকে ডিসেম্বর মাসে বেশি সংক্রমণ হওয়া এ ভাইরাসে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে শিশুরা। গ্রামাঞ্চলে মশার বংশবৃদ্ধি পাওয়া এলাকায় এ ভাইরাসে বেশি সংক্রমণ হয়ে থাকে।

কর্মশালায় গবেষকরা জানান, গত ১০ বছরের পরিসংখ্যানে রংপুর বিভাগে সর্বোচ্চ ৪৫ শতাংশ জাপানিজ এনসেফালাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রাজশাহী বিভাগে শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ।

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘জাপানিজ এনকেফালাইটিস ভাইরাস সব জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে মশার বংশবৃদ্ধি হওয়া মশার মাধ্যমে রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পরেছে। এখনই ব্যবস্থা না নিতে পারলে ডেঙ্গুর মতো মহামারি আকার ধারণ করতে পারে।’

চিকুনগুনিয়ার কথা এখন শোনা যায় না

সরকারের দেওয়া সর্বশেষ হিসাবে, ২০১৭ সালে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকুনগুনিয়া সংক্রান্ত চিকিৎসা নিয়েছে ১৩ হাজার ৮শ’ জনের বেশি মানুষ। এরপরের পরের বছর থেকে এ রোগের প্রাদুর্ভাব আর তেমন দেখা যায়নি।

সরকারের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘সারা দেশে মশক নিধনে ঘাটতি রয়েছে, এ ব্যাপারে কারও সন্দেহ থাকার কথা না। মশক নিধনে কিছু কিছু বড় পৌর এলাকায় যে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়, সেটি মশা মারতে পারে কিনা, তা যাচাই করা হয় না। আর ছোট পৌরসভায় অনেক সময় ওষুধও থাকে না। থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রয়োগের জন্য লোকের ঘাটতি থাকে।’

তিনি বলেন, ‘সারা দেশে সমন্বিত মশক নিধন কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। অন্যথায়, মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।’

/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
ডেঙ্গুতে একদিনে ৪৯ জন হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যেও জিকার সংক্রমণ পাওয়া গেছে
ডেঙ্গুতে একদিনে ৪ জনের মৃত্যু
সর্বশেষ খবর
রাজধানীতে এক পশলা বৃষ্টি, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা
রাজধানীতে এক পশলা বৃষ্টি, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা
ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় দ্বিতীয় দিন শুরু বাংলাদেশের
ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় দ্বিতীয় দিন শুরু বাংলাদেশের
রসুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৬০ টাকা
রসুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৬০ টাকা
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরে তীব্র শ্বাসকষ্ট ও ত্বকের সমস্যা
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরে তীব্র শ্বাসকষ্ট ও ত্বকের সমস্যা
সর্বাধিক পঠিত
হত্যা ও মুখ ঝলসে দেওয়ার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করেছিল পাঁচ জন: পুলিশ
হত্যা ও মুখ ঝলসে দেওয়ার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করেছিল পাঁচ জন: পুলিশ
খুলনায় সকাল সকাল আওয়ামী লী‌গের ঝ‌টিকা মি‌ছিল
খুলনায় সকাল সকাল আওয়ামী লী‌গের ঝ‌টিকা মি‌ছিল
সুদের টাকার জন্য পিটুনিতে ভবেশ চন্দ্রের মৃত্যু, তিন দিন পর জানালো পরিবার
সুদের টাকার জন্য পিটুনিতে ভবেশ চন্দ্রের মৃত্যু, তিন দিন পর জানালো পরিবার
রাজের ‘ইনসাফ’, নায়িকা ফারিণ
রাজের ‘ইনসাফ’, নায়িকা ফারিণ
দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ জরুরি, ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে হবে: নুরুল হক
দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ জরুরি, ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে হবে: নুরুল হক