এখন থেকে কমিউনিটি ক্লিনিকে পাওয়া যাবে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ। গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসের ওষুধ সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকে ব্যবহৃত ঔষধের তালিকা হালনাগাদকরণ কমিটি।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উক্ত কমিটির এক সভায় কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপের জন্য এমলোডিপিন ৫ মিলিগ্রাম ও ডায়বেটিসের জন্য মেটফরমিন ৫০০ মিলিগ্রাম ওষুধ সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ মোকাবিলার ক্ষেত্রে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রগতির জন্য জ্ঞান ‘প্রজ্ঞা’ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানিয়েছে।
প্রজ্ঞা বলেছে, বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের প্রকোপ এবং মৃত্যু ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ প্রদানের সিদ্ধান্ত এই রোগের চিকিৎসায় কার্যকরী এবং ব্যয়-সাশ্রয়ী পদক্ষেপ হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।
উল্লেখ্য, কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ২ থেকে ৩ মাসের ওষুধ একসঙ্গে দেওয়ার পরিষেবা চালু করা এবং এজন্য প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করা প্রভৃতি বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এবং এর সহযোগী সংগঠন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বে ১২৮ কোটি মানুষ (৩০-৭৯ বছর) উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, যার দুই-তৃতীয়াংশ বাস করে নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যুঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।