দেশে প্রথমবারের মতো স্পাইনাল মাসকিউলার এট্রফিতে (এসএমএ) আক্রান্ত কোনও শিশুর জন্য জিন থেরাপি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে এই থেরাপি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ। এটি দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য একটি মাইলফলক বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
চিকিৎসকরা জানান, স্পাইনাল মাসকিউলার এট্রফিতে একটি বিরল ও জটিল স্নায়ুতন্ত্রের জন্মগত রোগ যা জেনেটিক কারনে হয়ে থাকে। বিগত শতকে এর কোনো চিকিৎসা ছিল না। যার কারণে সারা পৃথিবীতে অসংখ্য শিশু মৃত্যুবরণ করেছে। এ রোগে আক্রান্ত শিশুরা বসতে বা দাঁড়াতে পারে না। তবে তাদের বুদ্ধিমত্তা ঠিক থাকে। কিন্তু শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন এবং জটিলতার জন্য মৃত্যুবরণ করে।
তারা আরও জানান, বর্তমানে একটি বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি নোভাটিস অনাসেমগে রোগের জন্য সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য জিন থেরাপি আবিষ্কৃত করেছে যা ইউএস এফডিএ কর্তৃক স্বীকৃত এবং ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের স্পাইনাল মাসকিউলার এট্রফির চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
চিকিৎসাটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল জানিয়ে অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, ‘এই চিকিৎসা প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয় হয়, তাই আমাদের দেশে এমন রোগী থাকা সত্ত্বেও বিনা চিকিৎসায় অনেক শিশু প্রতি বছর মারা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় নোভাটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সহায়তায় একটি গ্লোবাল প্রজেক্টের আওতায় এই মূল্যবান ওষুধটি আমাদের দেশের একটি শিশুকে প্রদান করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমাদের সম্পূর্ণ সহায়তা করেছে।