পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে দুই সামরিক পর্যবেক্ষককে বহনকারী জাতিসংঘের একটি গাড়িতে গুলি চালানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। পাকিস্তানের তোলা ওই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি। শুক্রবার ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়, ওই এলাকায় ভারতের পক্ষ থেকে কোনও গুলি চালানো হয়নি। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয় নিয়ন্ত্রণ রেখায় গোলাগুলিতে ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে শুক্রবার গুলি চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, জম্মু ও কাশ্মিরের পুঞ্চ জেলায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তীব্র গোলাবর্ষণ চালানোর দিনেই ইসলামাবাদ এমন অভিযোগ তুলেছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা অবশ্য বলেছেন পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের যথাযথ জবাব দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের গাড়িতে গুলিবর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘জাতিসংঘের গাড়িতে হামলা নিয়ে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং তথ্যগতভাবেই ভুল। আজ (শুক্রবার) এই সেক্টরে ভারতের পক্ষ থেকে কোনও গুলি চালানো হয়নি। জাতিসংঘের গাড়ি চলাচলের তথ্য আগে থেকেই জানা থাকায় এই ধরনের গুলি চালানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না। এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন।’
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই কাশ্মিরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র গোলাবর্ষণ চলছে। এতে প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা আর উভয় দেশের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার মানুষের মধ্যেও ভীতি বাড়ছে।
গত ১ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী রাজৌরি সেক্টরে গুলিবর্ষণ করে। এতে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বিএসএফ’র এক সাব ইন্সপেক্টর নিহত হয়। এছাড়া ২৭ নভেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবর্ষণে সুন্দরবানি সেক্টরে ভারতীয় বাহিনীর দুই সেনা নিহত হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ভারত ও পাকিস্তান এ পর্যন্ত তিনটি সর্বাত্মক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় যুদ্ধবিমান পাকিস্তানি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। পাকিস্তান তখন ভারতীয় একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে। এই ঘটনার পর থেকে উভয় দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।