যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও সিনিয়র উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার জোর দিয়ে দাবি করেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো করে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সৌদি আরবসহ অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোও ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হবে। ২৬ আগস্ট (বুধবার)মার্কিন সাময়িকী নিউজউইকে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
১৯৭৯ সালে মিসর ও ১৯৯৪ সালে জর্ডানের পর তৃতীয় আরব রাষ্ট্র হিসেবে গত ১৩ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। ১৬ আগস্ট সচল হয় দুই দেশের টেলিফোন যোগাযোগ। সবশেষ নিয়মিত বিমান চলাচল চালুর মধ্য দিয়ে আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠতে চাইছে দেশ দুটি।
নিউজউইককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কুশনার আমিরাতের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘বহু দেশ নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। মানুষের প্রতিক্রিয়া কী হয়, তা দেখার চেষ্টা করছে তারা। এখানকার [আরব] তরুণ প্রজন্ম ব্যাপারটি নিয়ে খুব আলোড়িত। তবে বয়োজ্যেষ্ঠদের মধ্যে কিছু সদস্য এখনও নস্টালজিয়ায় ভুগছেন এবং কোনও ঝুঁকি নিতে চান না।’
আমিরাতের পর উপসাগরীয় বাকি দেশগুলোও ইসরায়েলের সঙ্গে ‘অনিবার্যভাবে’ চুক্তি করবে উল্লেখ করে কুশনার বলেন, এখন বিষয় হলো সেটা কতদিনের মধ্যে হবে। তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে এদের মধ্যে অধিকাংশ দেশই তাদের অর্থনীতি এগিয়ে নিতে চায়। তারা বুঝতে পেরেছে নিজেদের এটা বঞ্চিত করলে তারা ইরানের খেলায় তারা জড়িয়ে যাবে, যেখানে তাদের আগ্রহ একটি ভঙ্গুর এবং গোলযোগপূর্ণ মধ্যপ্রাচ্য গড়ার।’