আগামী সপ্তাহে আবারও পারমাণবিক আলোচনা অব্যাহত রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে আলোচনার সাফল্য সম্পর্কে ‘চরম সতর্কতার’ কথা বলেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। শনিবার ( ২৬ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ ও আরাকচি ওমানের মধ্যস্থতায় মাস্কটে ছয় ঘণ্টা ধরে তৃতীয় দফা আলোচনা করেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইরানি রাষ্ট্রীয় টিভিকে আরাঘচি বলেন, ‘আলোচনা অত্যন্ত গুরুতর। তবে এখনও মূল বিষয় এবং বিশদ বিবরণ নিয়ে পার্থক্য রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উভয় পক্ষের মধ্যে আন্তরিকতা এবং সংকল্প আছে। তবে আলোচনার সাফল্য সম্পর্কে আমাদের আশাবাদ এখনও অত্যন্ত সতর্ক।’
এর আগে রোমে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার বৈঠককেও গঠনমূলক বলে অভিহিত করেছিল উভয় পক্ষই।
একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলোচনাকে ইতিবাচক ও ফলপ্রসূ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, উভয় পক্ষই ‘শিগগিরই’ ইউরোপে আবার বৈঠক করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এখনও অনেক কাজ বাকি। তবে একটি চুক্তির দিকে আরও অগ্রগতি হয়েছে।’
এর আগে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আলবুসাইদী জানিয়েছিলেন, আলোচনাগুলো আগামী সপ্তাহে অব্যাহত থাকবে। ৩ মে আরেকটি ‘উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক’ সাময়িকভাবে নির্ধারিত হয়েছে। আরাকচি জানান, বৈঠকের স্থান ওমান কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করবে।
সম্ভাব্য পারমাণবিক চুক্তির কাঠামো তৈরির জন্য প্রধান আলোচকদের বৈঠকের আগে, মাস্কটে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের পরোক্ষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আরাঘচি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতি উপকারী ছিল... আমরা এখন আমাদের রাজধানীতে ফিরে যাচ্ছি যাতে পর্যালোচনা করে দেখা যায় কীভাবে মতবিরোধ কমানো যেতে পারে।’
আরাঘচি আরও বলেন, এই আলোচনার একমাত্র লক্ষ্য হলো, ‘ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির শান্তিপূর্ণ প্রকৃতি সম্পর্কে আস্থা তৈরি করার বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।’
শুক্রবার টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করবো।’ তবে কূটনীতি ব্যর্থ হলে তিনি ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি পুনরায় দেন।