ইস্টার সানডের বার্তায় পোপ ফ্রান্সিস গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। নিউমোনিয়া থেকে সেরে ওঠা ৮৮ বছর বয়সী পোপ সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার প্রধান ব্যালকনিতে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থিত হয়ে এই বার্তা দেন। চিকিৎসকের পরামর্শে কাজের চাপ কমিয়ে আনা পোপ এবার ভ্যাটিকানের ইস্টার ম্যাসে সভাপতিত্ব না করলেও অনুষ্ঠানের শেষে উরবি এট অরবি’ (শহর ও বিশ্বের জন্য) নামে আশীর্বাদ ও বার্তা দেন।
নিউমোনিয়ায় পাঁচ সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পর পোপ গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের সমালোচনা বাড়িয়ে দিয়েছেন। জানুয়ারিতে তিনি ফিলিস্তিনের মানবিক পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত গুরুতর ও লজ্জাজনক’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। ইস্টার বার্তায় পোপ বলেন, গাজার পরিস্থিতি নাটকীয় ও নিন্দনীয়। তিনি হামাসকে অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান এবং বিশ্বব্যাপী ইহুদিবিদ্বেষের উদ্বেগজনক প্রবণতার নিন্দা জানান।
পোপ বলেছেন, পক্ষগুলোর প্রতি আমার আবেদন: যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করুন, জিম্মিদের মুক্তি দিন এবং শান্তির ভবিষ্যৎ কামনাকারী ক্ষুধার্ত মানুষদের সহায়তা করুন।
ইস্টারের আগের দিন রবিবার পোপ ফ্রান্সিস ভ্যাটিকানে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ইতালি সফররত ভ্যান্সের সঙ্গে এই বৈঠক কয়েক মিনিট স্থায়ী হয় বলে ভ্যাটিকান জানায়। ইস্টার শুভেচ্ছা বিনিময়ই ছিল এ সাক্ষাতের মূল উদ্দেশ্য।
গত সপ্তাহে হামাস ইসরায়েলের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে যুদ্ধ শেষের বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্তির দাবি জানায়। শনিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, তিনি হামাসের ওপর চাপ বাড়াতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলার পর থেকে এই যুদ্ধ শুরু হয়। ইসরায়েলি হিসাবে ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত ও ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, এরপর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৫১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত এক মাসে ১ হাজার ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স