লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিদায়ী উপপ্রধান এক হামলায় আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের অস্থায়ী বাহিনী ইউনিফিল (ইউএনআইএফআইএল) এক বিবৃতিতে জানায়, গাড়িবহরটি শান্তিরক্ষীদের বৈরুত বিমানবন্দরে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন এটি হামলার শিকার হয় এবং তাদের একটি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
মিশনটি লেবানন কর্তৃপক্ষের কাছে 'সম্পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক' তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম এবং লেবাননের সেনাবাহিনী ইউনিফিলের ওপর এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং দোষীদের গ্রেপ্তারে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, জাতিসংঘের একটি সাদা যানবাহনে আগুন জ্বলছে আর একদল হলুদ পতাকাবাহী যুবক শান্তিরক্ষীদের তাড়া করছে।
অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একদল লোক চিৎকার করতে করতে জাতিসংঘের তিনটি গাড়িবহরকে লাথি মারছে, আঘাত করছে এবং অন্ধকার রাস্তার ওপর সেগুলোর ওপর উঠে যাচ্ছে।
ইউনিফিলের (ইউএনআইএফআইএল) আহত উপপ্রধান, যার নাম প্রকাশ করা হয়নি, মিশন শেষ করে নিজ দেশে ফিরছিলেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তিরক্ষীদের ওপর এই জঘন্য হামলায় আমরা স্তম্ভিত। কারণ তারা দক্ষিণ লেবাননে কঠিন সময়ে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছিলেন।'
'শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। আমরা লেবানন কর্তৃপক্ষের কাছে সম্পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক তদন্তের দাবি জানাই এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাই।'
হিজবুল্লাহ-সমর্থিত আমাল আন্দোলন বলেছে, 'ইউনিফিলের ওপর হামলা দক্ষিণ লেবাননের ওপর হামলার সমান' এবং এটিকে 'গৃহশান্তিতে আঘাত' বলে বর্ণনা করেছে।
লেবাননের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ আল-হাজ্জার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, হামলাক 'শান্তিরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে অপরাধ' বলে উল্লেখ করেছেন। এর প্রেক্ষিতে শনিবার একটি নিরাপত্তা বৈঠক আহ্বান করবেন তিনি।