মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) পরিচালক বিল বার্নস কাতারের রাজধানী দোহা সফরে যাচ্ছেন। বুধবার (১৮ নভেম্বর) সেখানে তিনি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় নিয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করবেন। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, বার্নস কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানির সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এই আলোচনা মূলত কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা নিয়ে হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রেট ম্যাকগার্ক ইতোমধ্যে দোহায় রয়েছেন এবং কাতার, মিসর ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইসরায়েলের পাবলিক ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন কেএএন সোমবার জানিয়েছে, সীমিত ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলও গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় নিয়ে আলোচনার জন্য দোহা সফর করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ মঙ্গলবার বলেছেন, হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তি নিয়ে অগ্রগতি হয়েছে।
অন্যদিকে, হামাস একই দিন লিখিত এক বিবৃতিতে দোহায় চলমান আলোচনাকে গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছে। তবে তারা সতর্ক করেছে, ইসরায়েল যদি নতুন শর্ত আরোপ বন্ধ না করে, তবে চুক্তি সম্পন্ন হওয়া সম্ভব হবে না।
ইসরায়েলের কারাগারে ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছে বলে বিভিন্ন বন্দি গোষ্ঠীর দাবি। ইসরায়েল ধারণা করছে গাজায় প্রায় ১০০ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে। হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় তাদের হাতে জিম্মি থাকা ৩৩ জন নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের নেতৃত্বে মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করা হলেও তা এখনও ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।