ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, ইরান ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার সংরক্ষণ করে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) তবে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, এ অঞ্চলের সামগ্রিক পরিস্থিতি ইরানের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আরাঘচি বলেন, লেবাননে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে মঙ্গলবার স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানায় ইরান।
তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, এ যুদ্ধবিরতি দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথ খুলে দেবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় বুধবার কার্যকর হওয়া এ যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আরাঘচি বলেন, এটি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে সহায়ক হবে কি না, তা নির্ভর করবে ইসরায়েলের আচরণের ওপর।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার আমরা সংরক্ষণ করি। তবে আমরা এ অঞ্চলের সব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিচ্ছি।
গত ২৬ অক্টোবর ইসরায়েল ইরানের কয়েকটি স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। এর আগে ১ অক্টোবর ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়, যার জবাবেই ইসরায়েলের এ আক্রমণ।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টা আলি লারিজানি সম্প্রতি বার্তা সংস্থা তাসনিমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইরান ইসরায়েলের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইরানের পক্ষ থেকে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তবে সাম্প্রতিক হামলা ও যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষিতে এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।