ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু হওয়ার পর তেহরান বলেছে, তারা আত্মরক্ষার অধিকার রাখে। শনিবারের (২৬ অক্টোবর) হামলায় ‘সীমিত’ ক্ষতি হয়েছে এবং দুই সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ইরানের আধাসরকারি এক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তেহরান ‘সমানুপাতিক প্রতিক্রিয়া’ জানাবে।
আর সরকারি সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইহুদিবাদী আক্রমণের বিরুদ্ধে ইরান আত্মরক্ষার অধিকার রাখে এবং তারা বাধ্যতামূলক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আশা করেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি হামলা শেষ হয়েছে। ইরানের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে, তেল বা পারমাণবিক স্থাপনায় নয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, প্রায় এক মাস আগে গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধমূলক জবাব দিয়েছে তারা।
ইসরায়েলের বিমান হামলাগুলো ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন সুবিধা, ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা এবং বিভিন্ন অঞ্চলে ঘাঁটিতে আঘাত করেছে। তবে তারা ইরানকে সতর্ক করে বলেছে,যদি তেহরান প্রতিক্রিয়া জানায় তবে ‘এর জন্য তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।’
ইরান এক বিবৃতিতে, তেহরান, খুজেস্তান ও ইলাম প্রদেশের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে ইসরায়েলি আক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তবে রাজধানী এলাকায় বিস্ফোরণের জবাবে ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্রিয় হওয়ার খবরও দিয়েছে ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কারণে ঘটেছে।
ইরানি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় তেহরানে আকাশ প্রতিরক্ষা ক্রমাগত ইসরায়েলি প্রজেক্টাইল লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে।
ইসরায়েলি হামলার ফলে তেহরানে বিমান চলাচল স্থগিত ছিল। তবে শনিবার সকাল থেকেই ফ্লাইট চলাচল পুনরায় চালু করছে তারা।