ইরানে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হামলা সমাপ্ত করার ঘোষণা দেয় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী-আইডিএফ। শনিবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে শুরু হওয়া স্বল্প পরিসরের এই হামলায় ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা মেনে চলতে পারে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইরানের বিরুদ্ধে শনিবারের হামলা ছিল আত্মরক্ষার অনুশীলন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
শনিবারের এই হামলা সম্পর্কে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র বলেছেন, প্রতিক্রিয়া জানানো তাদের অধিকার এবং দায়িত্ব। তাদের প্রতিরক্ষা ও আক্রমণাত্মক সক্ষমতাগুলো পুরোপুরি সক্রিয় করা হয়েছে।
ইরান প্রায় এক মাস আগে গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর প্রায় ২০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ফলে ইরানের ওপর ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ামূলক আক্রমণের প্রত্যাশিত ছিল।
ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম নিশ্চিত করেছে, তেহরানের পশ্চিম ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে এখনও স্পষ্ট নয় যে ঠিক কোন কোন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে। তবে কিছু সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রাজধানী তেহরানের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
ইরানি সংবাদমাধ্যম হামলার প্রভাবকে কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে। প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে সঠিক তথ্য ইরানি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ধীরে ধীরে প্রকাশ পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ইসরায়েল দ্রুত তাদের হামলার বিশদ বিবরণ প্রকাশ করতে পারে। আর এর উপর নির্ভর করবে তারা আরেকটি হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে কিনা।
এদিকে পেন্টাগন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, ইসরায়েলের পরিকল্পনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকেই অবগত ছিল এবং এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও অংশগ্রহণ ছিল না।
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত যাতে সর্বাত্মক যুদ্ধে রূপ না নেয় সে বিষয়ে প্রচেষ্টা ছিল ওয়াশিংটনের।
এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে, ইসরায়েল সম্ভবত ওয়াশিংটনের সতর্কতা মেনে ইরানের ওপর সর্বাত্মক হামলা চালানোর কিছু উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নিয়ন্ত্রণ করেছে।
তবে এখন ইরানি নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করবে তারা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে।