লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে আরেকটি রক্তাক্ত দিন পার হলো। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশজুড়ে অব্যাহত ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে আরও অন্তত ১০৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩৫৯ জন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার পরও থেমে নেই ইসরাইলি আগ্রাসন। বরং এই সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো রাজধানী বৈরুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
সোমবার ভোরে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৈরুতের কেন্দ্রে কোলা এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা হয়েছে। গত বছর সংঘাত শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো শহরের সীমার মধ্যে হামলা চালানো ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে সংঘাত আরও তীব্র হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মহানগর বৈরুতে বোমা বর্ষণ ইঙ্গিত দেয় যে, লেবাননের রাজধানীকে আগে ইসরায়েলি হামলা থেকে নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে দেখা হতো, এখন আসলে সেটিও অন্যান্য এলাকার মতোই অনিরাপদ। রাজধানীতে চালানো হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে।
এছাড়া দক্ষিণের সাইদনের কাছে আইন আল-দেলব এলাকায় একক হামলায় দুটি আবাসিক ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। এতে ৩২ জন নিহত হয়। আশ্রয় নেওয়া অনেক বাস্তুচ্যুত পরিবার এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে।
লেবাননের কয়েকজন রাজনীতিবিদ এই আক্রমণকে ‘গণহত্যা’ বলে বর্ণনা করেছেন।
ইসরায়েল বলেছে, তারা হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। তবে লেবাননের কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ লেবাননের বাড়িঘর ও ভবন; বেকা, বালবাক-হেরমেল ও বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলিতে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
লেবানন সীমান্তের কাছে সামরিক সরঞ্জামাদিসহ সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এতে সম্ভাব্য স্থল অভিযানের শঙ্কা বেড়েছে। ইয়েমেনের হুথি এবং ইরান-সমর্থিত ইরাকি সশস্ত্র সংগঠনগুলোও হিজবুল্লাহ এবং গাজার ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর সমর্থনে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। ফলে এখন এই সংঘাত ক্রমশ একটি সর্বাত্মক যুদ্ধে পরিণত হচ্ছে।