বিশ্বের মুসলিমদের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার ডাক দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বোমা হামলায় লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হওয়ার পর এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান খামেনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বিশ্বের মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা লেবাননের পাশে দাঁড়ান। দুষ্ট শাসনের (ইসরায়েল) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গর্বিত হিজবুল্লাহ আমাদের বন্ধু।’
খামেনি বলেন, ইসরায়েলে সেনাবাহিনী হেজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে। এই অঞ্চলের ভাগ্য নির্ধারণ করবে প্রতিরাধ যোদ্ধারা, যার নেতৃত্ব দেবে হিজবুল্লাহ।’
ইরানি মিডিয়া জানিয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণ বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের ডেপুটি কমান্ডার জেনারেল আব্বাস নীলফরৌশানও ‘নাসরাল্লাহর পাশে’ নিহত হয়েছেন।
নাসরাল্লাহর হত্যাকাণ্ডের জন্য আংশিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। দেশটি দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলকে উন্নত অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের একটি বিবৃতিতে পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘আমেরিকানরা ইহুদিবাদীদের সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করতে পারে না।’
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা একটি পোস্টে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ‘নাসরাল্লাহর’ দেখানো পথ অনুসরণ করা হবে এবং জেরুজালেমের মুক্তির মাধ্যমে তার পবিত্র লক্ষ্য বাস্তবায়িত করা হবে।’
এদিকে, দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছে, নাসরাল্লাহর মৃত্যুর খবরে খামেনিকে ইরানের অভ্যন্তরে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে তার নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
শুক্রবার লেবাননের দক্ষিণ বৈরুতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় নাসরাল্লাহসহ আরও কয়েকজন নেতা নিহত হন। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, তাদের হামলায় শুধু হিজবুল্লাহ প্রধানই নন, ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটির দক্ষিণ ফ্রন্টের কমান্ডারসহ অন্যান্য সিনিয়র নেতাও নিহত হয়েছেন।
টানা ৩২ বছর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন গোষ্ঠীটির প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ। ইসরায়েলে যত হামলা চালানো হয়েছে তার সবই ছিল তার নির্দেশে।