ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চল থেকে ফিলিস্তিনিদের সাময়িকভাবে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তেল আবিবে গত সপ্তাহে ব্যর্থ আত্মঘাতী হামলার পর ইসরায়েলি বাহিনী যে বড় ধরনের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করেছে, সেটি অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিতে বুধবার (২৮ আগস্ট) তিনি এই আহ্বান জানান। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এ খবর জানিয়েছে।
কাটজ এক টুইটে বলেন, আমাদের সন্ত্রাসের হুমকির মোকাবিলা ঠিক সেভাবেই করতে হবে, যেমন আমরা গাজায় সন্ত্রাসের অবকাঠামো মোকাবিলা করছি। এর মধ্যে মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সাময়িকভাবে সরিয়ে নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য পদক্ষেপ।
তিনি এই অভিযানকে ‘যেকোনও অর্থে একটি যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছেন।
পশ্চিম তীরে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানে অন্তত ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে।
ইসরায়েল কাটজ জানান, জেনিন, তুলকারেমসহ পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায় ইরানের সমর্থনে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলার জন্য ইসরায়েলি বাহিনী কাজ করছে। তিনি দাব করেছেন, ইরান পশ্চিম তীরে লেবানন ও গাজার মডেল অনুসরণ করে সন্ত্রাসী ফ্রন্ট প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর গাজা উপত্যকার প্রায় ৮৮.৫ শতাংশ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মে মাসে রাফাহ থেকে প্রায় দশ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কৃষিমন্ত্রী আভি ডিচটারসহ অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তাদের আগের বক্তব্যগুলো আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার গণহত্যা মামলার অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল এই যুদ্ধে গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তির জন্য কনভেনশনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন করেছে। এর মধ্যে গণহত্যা, গণহত্যার উসকানি, গণহত্যার প্রচেষ্টা এবং গণহত্যার উসকানির শাস্তি দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগও রয়েছে।