হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহতের কথা জানাচ্ছে ইরানি সংবাদমাধ্যম। তিনি নিহত হওয়াতে দেশটির প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোহাম্মদ মোখবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেতে পারেন।
ইরানের সংবিধান অনুসারে, প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর ক্ষেত্রে, প্রথমে দেশটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট দেশটির সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদন সাপেক্ষে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অনুমোদন সাপেক্ষে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
অন্যান্য দেশের মতো ইরানের প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না, তাকে মনোনীত করা হয়। ১৯৮৯ সালে এই পদ সৃষ্টি করা হয়। তাকে প্রধানমন্ত্রীর কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
ইরানে বেশ কয়েকজন ভাইস-প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব পালন করছেন। বেশিরভাগ মূলত মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু তাদের মোখবারকে প্রথম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
২০২১ সালের আগস্ট মাসে মোখবারকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেন রাইসি। দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এই নিয়োগ দিয়েছিলেন তিনি। সংবিধান সংশোধনের পর সপ্তম ব্যক্তি হিসেবে মোখবার এই দায়িত্ব পেয়েছেন।
এই পদে নিয়োগ পাওয়ার পূর্বে মোখবার ১৪ বছর ইরানের প্রভাবশালী একটি শিল্পগোষ্ঠী সেতাড-এর প্রধান ছিলেন। এটি মূলত দাতব্য কাজে মনোযোগী।
সংস্থাটি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সরাসরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রয়টার্সের অনুসন্ধান অনুসারে, সেতাড-এর কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ রয়েছে।
মোখবারের অধীনে সেতাড ইরানের দেশীয় করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবন করে। কিন্তু টিকাটির কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ।
ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার ৫০ দিনের মধ্যে একটি নতুন নেতা নির্বাচনের জন্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করার বাধ্যবাধকতাও আছে দেশটির সংবিধানে।
সূত্র: আল জাজিরা