যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক চাপ অগ্রাহ্য করে দখলকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অনড় ইসরায়েল। মঙ্গলবার শেষ রাতের দিকে ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এ কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী স্মোট্রিচ মঙ্গলবার জেরুজালের দক্ষিণে অবস্থিত গুশ এতজিওনের মিশমার ইয়েহুদায় নতুন বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আরও বসতি স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া অব্যাহত থাকবে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, দেশজুড়ে আমরা বসতি স্থাপনের অগ্রগতি ধরে রাখব।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন কয়েক দিন আগে বলেছিলেন, পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপনকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি বলে বিবেচনা করে ওয়াশিংটন। ব্লিঙ্কেনের এই মন্তব্যের কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন এই বসতি স্থাপনের অনুমতি দিলো ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনিরা বলে আসছে, পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ হলো ইসরায়েলের পরিকল্পিত উদ্যোগ। এর মাধ্যমে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে যে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন ফিলিস্তিনিরা, তা নস্যাৎ করে দেওয়া।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলি মন্ত্রীরা একটি পরিকল্পনা বৈঠকে নতুন করে ৩ হাজার ৩০০টি বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিলেন। ব্লিঙ্কেন বলেছেন, এই সিদ্ধান্তে ওয়াশিংটন হতাশ।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জোট সরকারের প্রভাবশালী কট্টর ডানপন্থি নেতা স্মোট্রিচ নিজেই একটি বসতিতে বসবাস করেন।
গুশ এতজিওন আঞ্চলিক পরিষদের মেয়র শ্লোমো নিমান বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতি এটি হলো আমাদের জবাব। আরও বাসিন্দা, স্কুল, সড়ক স্থাপন করে গুশ এতজিওনকে শক্তিশালী করে যাব আমরা।
ইসরায়েলি অ্যাডভোকেসি গোষ্ঠী পিস নাও গত মাসে এক প্রতিবেদনে বলেছিল, অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপন বেড়েছে নজিরবিহীনভাবে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটির এক প্রতিবেদন অনুসারে, পশ্চিম ও পূর্ব জেরুজালেমে ২৭৯টি বসতিতে প্রায় ৭ লাখ ইহুদি সেটেলার বসবাস করেন। ২০১২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ২০ হাজার।