আসামের গোয়ালপাড়া জেলার একটি বন্দি শিবিরে আটক ২১১ ঘোষিত বিদেশি নাগরিকের প্রত্যাবাসন পরিকল্পনা নিয়ে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে নোটিশ জারি করেছে আদালত। ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ খবর জানিয়েছে।
আসাম জেলা আইনি সেবা কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২১১ জন ঘোষিত বিদেশি নাগরিকের মধ্যে ৬৬ জন বাংলাদেশি।
আসামের বন্দিশিবিরগুলোর অবস্থা নিয়ে বিচারপতি অভয় এস. ওকা এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহর বেঞ্চে একটি পিটিশন শুনানি হয়।
আসাম আইনি সেবা কর্তৃপক্ষের গবেষণায় গত ২৬ জুলাই বন্দিশিবিরগুলোর অবস্থা ‘দুঃখজনক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সেগুলোতে পানি সরবরাহ, নাজুক স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং লিকিং টয়লেটের মতো সমস্যা রয়েছে।
১৪ আগস্ট জমা দেওয়া একটি হলফনামায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশি নাগরিকদের প্রত্যাবাসন এবং ফেরত পাঠানোর ক্ষমতা রাখে। এ বিষয়ে বিদেশি আইন অনুসারে আদেশ জারি করা হয়। তবে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করে থাকে।’
বিচারপতি ওকা হলফনামা পড়ার পর বলেন, কেন্দ্র রাজ্যের উপর সমস্ত দায়ভার চাপিয়ে দিয়েছে। যদিও কর্তৃত্ব ভাগ করা হয়েছে। তবে উভয় পক্ষকে দায়িত্ব নিতে হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘২০১৯ সালে একটি চিঠি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে নাগরিকত্ব যাচাইয়ের ফর্মের জন্য। তবে এখনও কোনও যাচাই প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।’
এ বিষয়ে আসাম সরকার হলফনামা দাখিল করবে বলেও জানান তিনি। পরে বিচারপতি ওকা সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রারকে রিপোর্টটি কমিটির রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
সিনিয়র অ্যাডভোকেট কলিন গনসলভেস বলেন, ‘সিএএ-এনআরসি শুরু হওয়ার পর ১০ বছর পার হয়েছে। অথচ একটি হলফনামায় দেখা গেছে এই সময়ে ২ লাখের মধ্যে মাত্র ৬ জনকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।’
এদিকে, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কেএম নাটরাজ জানিয়েছেন, ‘সব বিদেশি নাগরিকদেরই ভারতে থেকে বহিষ্কার করা হবে।’