মনিপুরে যে কোনও ‘দুর্বৃত্ত ড্রোন’ মোকাবিলা করার জন্য ড্রোন-বিরোধী সিস্টেম মোতায়েন করেছে আসাম রাইফেলস-এআর। এছাড়া মনিপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়াতে অতিরিক্ত ড্রোন-বিরোধী বন্দুকও রাজ্যে আনছে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স-সিআরপিএফ। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) মনিপুরে নতুন করে সহিংসতায় ৬ জন নিহতের পর, সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ। ভারতের সংবাদমাধ্যম এএনআই এ খবর জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে মনিপুর পুলিশ বলেছে, দুর্বৃত্ত ড্রোনকে প্রতিহত করতে রাজ্যে কয়েকটি ড্রোন-বিরোধী সিস্টেম মোতায়েন করেছে এআর। অ্যান্টি-ড্রোন বন্দুকও আনা হচ্ছে।
মনিপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়াতে এবং কার্যকরভাবে ড্রোন থেকে হুমকি মোকাবিলা করতে ড্রোন-বিরোধী কার্যক্রমের প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য পুলিশ ।
বিষ্ণুপুর জেলায় রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িসহ দুটি স্থানে শুক্রবার রকেট হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহীরা। এ ঘটনায় রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মাইরেম্বাম কোইরেং সিংয়ের বাড়িতে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছে।
কয়েকদিন ধরেই ধফায় দফায় ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালিয়ে আসছিল বিদ্রোহীরা। এর মধ্যে শুক্রবার প্রথম রকেট হামলা চালানো হলো।
এর আগে শনিবার ভোরে বিষ্ণুপুর জেলার ত্রংলাওবি গ্রামে আরও রকেট হামলা চালানো হয়। অবশ্য সেখানে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশের মতে, শনিবার পার্বত্য ও উপত্যকা জেলার প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী অনুসন্ধান অভিযান চালিয়েছে। এসব এলাকায় অন্তত ৯২টি অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে অন্তত ১২৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রাজ্যে কিছুদিন পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত থাকলেও গত রবিবার থেকেই উত্তেজনা বেড়েছে। ড্রোন ও রকেট হামলার পাশাপাশি গুলি চলছে এবং গ্রেনেড হামলা হচ্ছে।
পরিস্থিতির বিচারে মনিপুর সরকার রাজ্যজুড়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার থেকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।