পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার শহর থেকে আবারও আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও ভারতীয় জাল কাগজপত্রসহ এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার পশ্চিমবঙ্গের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
কয়েক মাস আগেই ইরানের চারজন বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, যাদের কাছে জাল ভারতীয় আধার কার্ড পাওয়া যায়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার কোচবিহার শহর থেকে শরিফ মণ্ডল আলি (৬৪) নামে একজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হলো। তার সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (ওয়েস্ট বেঙ্গল) অপারেশন বিভাগের এসপি ইন্দ্রজিৎ পাল বলেছেন, ‘গ্রেফতারকৃত কয়েক মাস ধরেই কোচবিহারে ছিল। তার কাছে কীভাবে ভারতীয় জাল কাগজপত্র এসেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
স্পেশাল টাস্ক ফোর্স সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশি নাগরিকের কাছে ভারতীয় স্কুলের প্রশংসাপত্রও পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলো হয়ে শরিফ কোচবিহারে এসেছিল। তবে কী উদ্দেশ্যে এখানে এসেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এখানে যে তার অবৈধ কোনও কাজকর্মের পরিকল্পনা ছিল, তা তদন্তকারীদের কাছে স্পষ্ট।
বারবার কোচবিহারে অনুপ্রবেশের ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারাও। কোচবিহার জেলা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় থাকায় স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই জেলার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এখানে চোরাপথে বিদেশিদের ঢুকে পড়া, এমনকি এখানে এসে জাল ভারতীয় আধার কার্ড, প্যান কার্ড, বিদ্যালয়ের প্রশংসাপত্র তৈরি করে ফেলার ঘটনায় তদন্তকারীদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক স্তরের বড় কোনও সংগঠন এর পেছনে রয়েছে কিনা, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।