ট্রান্সজেন্ডারদের নারী বা পুরুষ বিভাগের অধীনে না আনার নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। বরং শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের জন্য জাত নির্বিশেষে তাদেরকে বিশেষ বিভাগ হিসাবে বিবেচনা করতে তামিলনাড়ু সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (১২ জুন) বিচারপতি ভি ভবানী সুব্বারোয়ান প্রতিটি কর্মসংস্থান এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সরকার ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য পৃথক নিয়ম নির্ধারণ করবে মর্মে এক আদেশ জারি করেছেন। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
ভবিষ্যতে কখনওই ট্রান্সজেন্ডারদের পুরুষ বা মহিলা বিভাগের আওতায় আনা হবে না, বিচারক স্পষ্ট করেছেন।
বিচারক বলেছেন, ট্রান্সজেন্ডারকে একটি বিশেষ বিভাগ হিসাবে নির্দিষ্ট করতে এবং তাদেরকে চিহ্নিত করতে সব ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক ফরমে আলাদা ঘর রাখতে সব রাজ্য নিয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেবে সরকার।
২০১৭-১৮ সালের সম্মিলিত সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়া এক রূপান্তরকামী আর অনুশ্রীকে আবেদনের অনুমতি দিয়েছে আদালত। বিচারক বলেছেন, আবেদনকারী যেহেতু ওই পরীক্ষায় বসার উপযুক্ত, তাই তামিলনাড়ু পাবলিক সার্ভিস কমিশন তার প্রশংসাপত্র যাচাইয়ের জন্য নথিপত্র আপলোড করার অনুমতি দেবে।
আবেদনকারীকে উপজাতি নারী বিভাগে রাখা হয়েছে। ওই বিভাগের জন্য নির্ধারিতের চেয়ে কম স্কোর করায় তার নথিপত্র আপলোড করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
ওই রূপান্তরকামীর আবেদনের ওপর ভিত্তি করেই এমন আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারক বলেছেন, আবেদনকারীকে মহিলা বিভাগের অধীনে আনা ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এবং মাদ্রাজ হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে গেছে।