X
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
১৪ বৈশাখ ১৪৩২

কে হচ্ছেন ভারতের লোকসভার স্পিকার?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১০ জুন ২০২৪, ১৭:০৮আপডেট : ১০ জুন ২০২৪, ১৭:০৮

নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন অতীতের দুটি সরকার ফল ঘোষণার দশ ও সাত দিনের মাথায় শপথ নিয়েছিল। এবার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। সরকার গঠনে জোট শরিকদের সঙ্গে একাধিক আলোচনায় বসতে হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বকে, বিশেষ করে টিডিপির চন্দ্রবাবু নাইডু ও জেডিইউ-এর নীতীশ কুমারের সঙ্গে। মূলত মন্ত্রণালয় ভাগাভাগি নিয়ে এই আলোচনা। এরপরও ৭২ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা নিয়ে ফল ঘোষণার চার দিনের মাথায় শপথ নিতে সক্ষম হয়েছেন মোদি।

তবে এখনও একটি বড় প্রশ্ন রয়ে গেছে–কে হচ্ছেন লোকসভার স্পিকার? একাধিক খবরে দাবি করা হয়েছে, টিডিপি ও জেডিইউ উভয় দলের পদটির ওপর নজর রয়েছে। কিন্তু বিজেপি সূত্র মতে, এমন কিছু করতে আগ্রহী নয় মোদির দল।

স্পিকার কীভাবে নির্বাচিত হন

ভারতের সংবিধান অনুসারে, নতুন লোকসভার প্রথম অধিবেশনের আগ মুহূর্তে স্পিকারের পদ শূন্য হয়। প্রেসিডেন্ট মনোনীত সাময়িক স্পিকার নতুন এমপিদের শপথ পাঠ করান। পরে সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভোটে লোকসভার নতুন স্পিকার নির্বাচিত হন। স্পিকার হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও যোগ্যতার কথা সংবিধানে উল্লেখ নেই। তবে সংসদীয় জ্ঞান থাকাকে সুবিধাজনক হিসেবে মনে করা হয়। গত দুটি দুটি লোকসভায় বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। স্পিকার ছিলেন সুমিত্রা মহাজন এবং ওম বিরলা।

একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদ

লোকসভা স্পিকারের পদটি একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ পদ। লোকসভার অধিবেশন পরিচালনাকারী হিসেবে স্পিকারের দল নিরপেক্ষ হওয়ার কথা। তবে যিনি এই সম্মানজনক পদে আসীন হন তিনি নির্দিষ্ট একটি দল থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়ে লোকসভায় আসেন। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা এন সঞ্জিবা রেড্ডি স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। পিএ সাঙ্গমা, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ও মেইরা কুমার আনুষ্ঠানিকভাবে দল থেকে পদত্যাগ করেননি। কিন্তু তারা আশ্বাস দিয়েছিলেন কোনও দলের নন। এমনকি নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার কারণে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল সিপিএম। ২০০৮ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের সময় এই ঘটনা ঘটেছিল।

এনডিএ মিত্ররা কেন স্পিকার পদ চায়

চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতীশ কুমার রাজনীতিতে প্রবীণ এবং ‘নিশ্চয়তা’ হিসেবে স্পিকারের পদ চাইছেন উভয়েই। গত কয়েক বছর ধরে ক্ষমতাসীন দলগুলোর মধ্যে একটি ‘বিদ্রোহ’ হয়েছে, যা জোটে ভাঙন ধরিয়েছে। এমনকি সরকারের পতনও হয়েছে। এমন ঘটনার ক্ষেত্রে দল ত্যাগ-বিরোধী আইন সামনে আসে এবং তখন স্পিকারের পদটি অনেক প্রভাবশালী হয়ে ওঠে।

আইনে বলা হয়েছে, কোনও সদস্যের পক্ষত্যাগের ইস্যুতে অযোগ্য ঘোষণার ক্ষেত্রে  চেয়ারম্যান বা লোকসভার স্পিকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিরঙ্কুশ ক্ষমতা রয়েছে।

অতীতে নীতীশ কুমার বিজেপির বিরুদ্ধে তার দলে ভাঙন তৈরির অভিযোগ করার নজির রয়েছে।

আর তাই সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা দুই প্রবীণ রাজনীতিক কোনও দলীয় বিদ্রোহের মুখে পড়তে চান না এবং এমন যেকোনও কৌশলের বিরুদ্ধে স্পিকারের পদকে ঢাল হিসেবে কাজে লাগাতে চাইছেন তারা।

সূত্র: এনডিটিভি

/এএ/
সম্পর্কিত
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন মোদি: আল জাজিরাকে ড. ইউনূস
ফ্রান্সে মসজিদে হামলা:  রাজনীতিকদের নিন্দা, পলাতক সন্দেহভাজন
পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় নীল স্যুট পরে আলোচনায় ট্রাম্প
সর্বশেষ খবর
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুন
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুন
এনসিপি ‘গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটি’ গঠন
এনসিপি ‘গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটি’ গঠন
৩য় প্রান্তিক শেষে ওয়ালটনের মুনাফা ৬৯৬ কোটি টাকা
৩য় প্রান্তিক শেষে ওয়ালটনের মুনাফা ৬৯৬ কোটি টাকা
এনসিপি আইনজীবী উইংয়ের প্রস্তুতি কমিটি গঠন
এনসিপি আইনজীবী উইংয়ের প্রস্তুতি কমিটি গঠন
সর্বাধিক পঠিত
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহানের পদত্যাগ দাবি
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহানের পদত্যাগ দাবি
রাখাইনে মানবিক সহায়তায় শর্তসাপেক্ষে করিডোর দিতে রাজি সরকার
রাখাইনে মানবিক সহায়তায় শর্তসাপেক্ষে করিডোর দিতে রাজি সরকার
হাইকোর্টে প্রতিবেদন: নিয়ম মেনেই হয়েছিল আদানির বিদ্যুৎ চুক্তি
হাইকোর্টে প্রতিবেদন: নিয়ম মেনেই হয়েছিল আদানির বিদ্যুৎ চুক্তি
আবার চালু হচ্ছে পরিত্যক্ত ৭ বিমানবন্দর, সবার আগে বগুড়া
আবার চালু হচ্ছে পরিত্যক্ত ৭ বিমানবন্দর, সবার আগে বগুড়া
মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্যে জামায়াত নেতার বাধা, কেড়ে নেওয়া হলো মাইক
মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্যে জামায়াত নেতার বাধা, কেড়ে নেওয়া হলো মাইক