সর্বদা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। শুক্রবার (৭ জুন) শুক্রবার বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ’র নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সভায় এ অঙ্গীকার করেন তিনি। সভায় তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
জানুয়ারিতেই বিরোধী ইন্ডিয়া জোট থেকে বের হয়ে বিজেপির পক্ষে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। সভায় একসময়ের মিত্র কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, দেশের জন্য কোনও কাজই করেনি কংগ্রেস ও তার ইন্ডিয়া জোট। বারবার দল বদল করে ক্ষমতায় থাকা নীতীশ কুমার ভারতের রাজনীতিতে পল্টু কুমার নামেও পরিচিত। গত এক দশকে ছয়বার দল বদল করা নীতীশ এসময় সবসময় মোদির পাশে থাকার অঙ্গীকারও করেন।
মঙ্গলবার দুপুরেই যখন স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এবার বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছে তখন থেকেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি। লোকসভায় এই দুই দলের আসন যথাক্রমে ১২ ও ১৬। আর বিজেপি পেয়েছে ২৪০ আসন। সরকার গঠনে দরকার ২৭২ আসন। বিজেপির পক্ষ থেকেই নীতীশের সঙ্গে আগে যোগাযোগ করা হয়। আর বিজেপিকে সমর্থনের বিনিময়ে মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় অন্তত দুইটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার আশা করছেন নীতীশ। ১৯৯৮-৯৯ সালে রেলমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
আর সেটা না হলে আবারও পল্টি মারার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। কারণ এনডিএ’র সংসদীয় বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাবার পথে নাইডু তার অবস্থান পরিষ্কার করলেও, নীতীশ কুমার নীরব ছিলেন।
বৃহস্পতিবার তার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রিসভার পদ বণ্টন নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। এই সময়ে নীতীশ কুমার বিজেপি নেতাদের একটি বিষয় মনে করিয়ে দিতে বলেন। নিতিশ কুমারকে আহ্বায়ক হিসেবে নামকরণে বিলম্বের কারণেই ইন্ডিয়া জোট থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি।