একসময় ভারতের সাংবিধানিক প্রধান ছিলেন। আর শনিবার আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা প্রকাশের পর খুঁজে পাওয়া যায়নি ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ বা তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নাম।
ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ ভারতের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালে মৃত্যুবরণ করা দ্বিতীয় ভারতীয় রাষ্ট্রপতি তিনি। গুরজার জাতিগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা একমাত্র ব্যক্তি তিনি।
২০১৮ সালে এনআরসির দ্বিতীয় খসড়া তালিকায় এই সাবেক রাষ্ট্রপতির নাম না থাকায় বিতর্ক হয়েছিল। এনআরসি কর্তৃপক্ষ তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণের উপযুক্ত প্রমাণ হাজির করতে বলেছিল। ফখরুদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা তা দাখিল করেছিলেন। তাদের দাবি, নথি জমা দেওয়ায় তাদের কোনও ত্রুটি ছিল না। এরপরও চূড়ান্ত নাগরিক তালিকায় নেই তাদের নাম। এর ফলে শনিবার থেকে তারা রাষ্ট্রহীন।
আসামের শিলচর থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক পত্রিকা প্রান্তজ্যোতি’র খবরে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে প্রকাশিত দ্বিতীয় খসড়া তালিকায় ছিল না সাবেক রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ, তার প্রয়াত ভাই একরামুদ্দিন আলি ও ভাইপো জিয়াউদ্দিনের নাম নেই। যদিও তালিকায় ছিল ফখরুদ্দিনের ছেলে পারভেজ ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম। বাকিদের নাম তালিকাভুক্ত করতে বংশলতিকা চাওয়া হয় এনআরসির পক্ষ থেকে। সে অনুসারে তা দাখিল করা হয়। আশা ছিল নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণের পরীক্ষায় পাস করে যাবেন। কিন্তু তা হয়নি।
আসামের কামরূপের রঙ্গিয়ায় ফখরুদ্দিনের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বাস করছেন। সাদামাটা গ্রামীণ জীবন তাদের। নাগরিকত্ব প্রমাণ নিয়ে বিন্দুমাত্র দ্বিধা ছিল না তাদের।
কিন্তু এনআরসি তালিকা তৈরির জটিল ও দীর্ঘ কর্মযজ্ঞ শেষে শনিবারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হলে তাদের সব উদ্যোগ নিষ্ফল বলে প্রতীয়মান হলো। এবার ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে গিয়ে নিজেদের বিদেশি তকমামুক্ত করতে হবে সাবেক রাষ্ট্রপতির পরিবারকে।