রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল সম্পূর্ণভাবে পুনর্দখলে নেওয়ার দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। রুশ সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে কুরস্ক পুনর্দখলের ঘোষণা দেন। তবে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা দ্রুত রাশিয়ার এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
আট মাস আগে ইউক্রেনীয় সেনারা আকস্মিক পাল্টা অভিযানে রাশিয়ার এই ভূখণ্ডের দখল নিয়েছিল।
রাশিয়ার সেনাপ্রধান বলেন, রুশ সেনারা কুরস্কে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণাধীন শেষ গ্রাম ‘গর্নাল’ মুক্ত করেছে।
গেরাসিমভের বক্তব্যের পর পুতিন বলেন, কিয়েভ সরকারের দুঃসাহসিক অভিযান সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী সঙ্গে সঙ্গে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, তাদের সেনারা এখনও কুরস্কের কিছু এলাকায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া পোস্ট বলেন, ‘ইউক্রেন সেনাবাহিনীর পরাজয় নিয়ে শত্রুপক্ষের নেতাদের বক্তব্য অপপ্রচার ছাড়া আর কিছু নয়।’ তবে তিনি স্বীকার করেছেন, কুরস্কে ইউক্রেনের জন্য পরিস্থিতি ‘কঠিন’ হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেখানে রুশ বাহিনী ধীরে ধীরে অগ্রগতি করেছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণের কিছু অঞ্চল দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। এমন পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতে কুরস্কে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিয়েভ।
রাশিয়ার দাবি করা কুরস্ক পুনর্দখলের মধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ‘সম্পূর্ণ ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির’ প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
শনিবার ক্রেমলিনও জানিয়েছে, পুতিন কোনও শর্ত ছাড়াই ইউক্রেনের সঙ্গে পুনরায় আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।